বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়লা পাচার কাণ্ডে অস্বস্তি আরও বৃদ্ধি পেল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গতকাল রাতে তৃণমূল নেতার সর্বদা সঙ্গী হাবিবুর আখনের বাড়িতে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও এতদিন সিবিআইয়ের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল হাবিবুর আর সেই কারণেই গতকাল শেষ পর্যন্ত বিষ্ণুপুরে তার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।
উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুর থানা অন্তর্গত উদয়রামপুর এলাকায় বসবাস করে হাবিবুর। বর্তমানে বিষ্ণুপুর-আমতলার অফিসে কর্মী পদে নিযুক্ত রয়েছে অভিষেকের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত এই ব্যক্তি। সিবিআইয়ের দাবি, কয়লা পাচার কাণ্ডের যে সকল ব্যক্তিদের দিকে তাদের নজর রয়েছে, তাদের অনেকেই বিষ্ণুপুর-আমতলার অফিসে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করত আর সেই কারণেই হাবিবুরের ওপর সন্দেহ জন্মেছে তাদের। এই কারণেই অতীতে তাকে তলবও করে সিবিআই। তবে সেই প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে বাধে বিতর্ক!
প্রসঙ্গত, অতীতে হাবিবুর আখনকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে উল্টে হেনস্থার অভিযোগ করে সে। তার দাবি ছিল, “আমার উপর বিভিন্ন রকম ভাবে সিবিআই চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। আমাকে জোর করা হচ্ছে।” যদিও তার পরেও সিবিআই দ্বারা তলবের মুখে পড়তে হয় তাকে, কিন্তু সেই সময় তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ পাওয়া যায়নি হাবিবুরের আর সেই কারণেই গতকাল অবশেষে তার বাড়িতে পৌঁছে যায় গোয়েন্দা সংস্থা।
সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে সিবিআই এবং ইডি মিলে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্রমাগত জেরা করে চলেছে, তাতে অস্বস্তি বেড়েই চলেছে তৃণমূল নেতার। যদিও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই তৎপরতাকে আদতে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করে আসে তৃণমূল নেতৃত্ব, তবে কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার হাবিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ মাঝে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তা যে বহুগুণে বৃদ্ধি পেল, সে বিষয়ে মত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।