বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে (Recruitment Scam Case) কার্যত তোলপাড় হয়েছিল গোটা বাংলা। এই মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক হেভি ওয়েট নেতা মন্ত্রীদের। বিগত প্রায় তিন বছর ধরে এই নিয়োগ-দুর্নীতি কান্ডের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল সিবিআই (CBI)। এই তদন্তকারী টিমের মাথায় এসপি পদে রয়েছেন কল্যাণ ভট্টাচার্য (Kalyan Bhattacharya)।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় CBI-র দাবি শুনে কি বলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
গত বছরের ২৮ মে সিবিআইয়ের এসপি ধর্মবীর সিংয়ের জায়গায় তাঁকে বসানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই কল্যাণ ভট্টাচার্য আগামী বছরের অক্টোবর মাসেই অবসর নিতে চলেছেন। তার আগেই এই তদন্তকারী টিমের এসপি পদ থেকে কল্যাণ ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
যদিও এদিন সিবিআই-র আবেদন শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Amrita Sinha) এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দেশ দেননি। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই তদন্তকারী টিমের পুনর্গঠন করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। গোটা দলকে একেবারে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি এসপি কল্যাণ ভট্টাচার্যকে সরানোর আবেদন জানানো হয়।
আরও পড়ুন: আম্বেদকর ইস্যুতে পথে নামছেন মমতা! বাংলা জুড়ে বিরাট আন্দোলনের ডাক মুখ্যমন্ত্রীর
এক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থার যুক্তি ছিল আগামী বছর কল্যাণ ভট্টাচার্য অবসর নেবেন। তাই তাঁর জায়গায় একজন ডেপুটি এসপিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হোক। তবে এদিন সিবিআই-এর এই আবেদন শুনে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) জাস্টিস অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন এই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই তদন্তকারী অফিসারদের তিনি শীর্ষ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন তারা যেন সেখানে গিয়েই আর্জি জানান। জাস্টিস সিনহার কথায়, ‘শীর্ষ আদালত আমার হাত বেঁধে রেখেছে। আমি কি করব?’
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানোর কথা বলায় এদিন মূল মামলাকারী বলেন, ‘ওই আধিকারিক আগামী বছরের অক্টোবর মাসে অবসর নেবেন। সেক্ষেত্রে এখন কীসের সমস্যা?’ তবে এইখানেই উঠছে আরও একটি প্রশ্ন। বলে হচ্ছে ‘তাহলে কি সিবিআই ঠিকই করে নিয়েছে তদন্তের কাজ আরও বছরখানেকের বেশি সময় ধরে চলবে? প্রসঙ্গত এদিন সিবিআই-এর এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত জাস্টিস সিনহা কোন নির্দেশ দেননি। তবে জানা যাচ্ছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এই আবেদনের পরবর্তী শুনানি শুরু হবে।