বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ডে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে চলেছে সিবিআই। এবার তাদের জালে হাঁসখালি কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্তর বাবা সমরেন্দ্র গোয়ালি। দীর্ঘদিন নিরুদ্দেশ থাকার পর কিছুদিন পূর্বেই তাকে পাকড়াও করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অবশেষে এ দিন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হল। এছাড়াও তার বন্ধু পীযূষ ভক্ত নামের এক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রমাণ লোপাট সহ হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বর্তমানে, হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনাটি সামনে আসার পর থেকেই এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য এবং প্রশাসনের গাফিলতি নিয়ে বিরোধীরা একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে রাজ্যের শাসক দলকে। এরপরেই, রাজ্য পুলিশ এই ঘটনায় ব্রজগোপাল গোয়ালি এবং তার বন্ধু প্রভাকর পোদ্দার নামের এক যুবককে হেফাজতে নেয়।
পরবর্তী কালে, কলকাতা হাইকোর্ট দ্বারা তদন্ত ভার পুলিশের হাত থেকে সরিয়ে সিবিআইকে তুলে দেওয়া হয়। তদন্তের দায়িত্ব পেতেই আসরে নেমে পড়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর থেকেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলা থেকে শুরু করে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করে দেওয়া হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই রঞ্জিত মল্লিক, আকাশ বাড়ুই এবং দীপ্ত গোয়ালি নামের তিন যুবককে গ্রেফতার করে তারা।
প্রসঙ্গত, ঘটনার পর থেকেই নিরুদ্দেশ থাকে মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ালির বাবা তথা এলাকার তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্র গোয়ালি। একাধিক স্থানে তল্লাশি চালিয়েও এতদিন পর্যন্ত সিবিআইয়ের নজরের আড়ালেই থাকে সে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের জালে ধরা পড়ে তৃণমূল নেতা। এরপর বেশ কয়েকবার সিবিআই তদন্তের মুখেও পড়তে হয় তাকে এবং শেষ পর্যন্ত এদিন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও তার বন্ধু পীযূষ ভক্তকেও হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই।
এদিন হাঁসখালি কাণ্ডে সকল অভিযুক্ত ব্যক্তিদের রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। দীর্ঘ শুনানির পর আগামী 13 ই মে পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতের রায় দেন বিচারক।