বাংলাহান্ট ডেস্ক: কেকের (KK) মৃত্যুর তদন্ত ভার এবার সম্ভবত যেতে পারে সিবিআই (CBI) এর হাতে। প্রয়াত গায়কের মৃত্যুর নেপথ্যে সঠিক কারণ জানতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এই মর্মে আবেদন জানিয়েছিলেন আদালতে। তাঁর আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ৩১ মে প্রয়াত হন কেকে। একাধিক কলেজের অনুষ্ঠান করতে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। পরপর শো করছিলেন। ৩১ মে নজরুল মঞ্চে ছিল গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান। সেই শোয়ের পরেই প্রয়াত হন কেকে। এমতাবস্থায় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের কাঠগড়ায় তুলেছে অনেকেই। প্রশ্ন উঠেছে সেদিনের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা নিয়েও।
আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় কেকের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ অনুমতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে শেষ অনুষ্ঠান করেন কেকে। নজরুল মঞ্চে আসন সংখ্যা ২৫০০। অথচ সেদিন লোক হয়েছিল প্রায় ৭০০০। এসি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলেও দাবি করেছে সেদিনের শোতে উপস্থিত শ্রোতারা। দরজা খোলা রেখেও কোনো লাভ হয়নি। বারংবার গরম লাগার অভিযোগ করছিলেন কেকে।
এদিকে ফেস্টের আয়োজক কলেজের ইউনিয়ন টিএমসিপি ইউনিট দাবি করেছে, যত আসন সংখ্যা ততগুলোই পাস বিলি করেছিল তারা। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের হাতে ইতিমধ্যেই কিছু টিকিট এসে পড়েছে যা স্পষ্টতই অতিরিক্ত।
যেখানে অডিটোরিয়ামে আসন সংখ্যা ২৫০০, সেখানে একটি টিকিটের নম্বর ৪০২৩। এমনকি টিকিটে কলেজের স্ট্যাম্প পর্যন্ত রয়েছে। এটা স্পষ্ট যে অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি তো করা হয়েছিলই, উপরন্তু সেদিন অনেক বহিরাগত পড়ুয়ারাও ঢুকে পড়েছিল শো তে। পাঁচিল টপকেও অনেকে ঢুকেছিল বলে খবর। যদিও অতিরিক্ত টিকিটের প্রমাণ দেখেও কোনো মন্তব্য করেনি কলেজ ইউনিয়ন।