বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিজেপি কি ওয়াশিংমেশিন? চার্জশিটের শিরোনাম মুকুল রায়ের (mukul roy) নাম থাকা সত্ত্বেও বাদ গেলেন কেন তিনি? শুভেন্দুকে কেন ধরা হল না? সোমবার সকালের ঘটনার পর থেকে এইধরনের একাধিক প্রশ্নবাণে জর্জরিত সিবিআই। এবার অবশেষে সেসব প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দিল সিবিআই চার্জশিট।
সিবিআই চার্জশিটে স্পষ্ট বলা হয়, মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীরা নারদকাণ্ডের সময় সাংসদ ছিলেন। সেইসময় এই মামলায় অভিযুক্ত অপরূপা পোদ্দার, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইকবাল আহমদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০১৯ সালে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছ থেকে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেবিষয়ে এখনও অনুমোদন দেননি স্পিকার। তবে মুকুল শুভেন্দুদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
সোমবার সকালে বাংলার চারজন বর্তমান এবং প্রাক্তন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতার করতেই, বাংলা জুড়ে বিক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হয়। তাঁদের মুক্তির দাবিতে নিজাম প্যালেস ঘিরে ধরে প্রতিবাদী বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।
কিন্তু এই নারদকাণ্ডে বাকি অভিযুক্ত মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী গ্রেফতারি হওয়ার হাত থেকে ছাড় পেলেন কেন, সেই নিয়ে উঠতে থাকে নানা প্রশ্ন। অন্যদিকে এই মামলায় অভিযুক্ত থাকা সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তখনও গ্রেফতারি থেকে দূরেই রাখা হয়। কিন্তু মুকুল-শুভেন্দুকে গ্রেফতার না করায় নানা বিধ প্রশ্ন করতে থাকে তৃণমূল। এমনকি তৃণমূলের ৩ বিধায়ক ও প্রাক্তন নেতার গ্রেফতারির খবর পেয়ে সেখানে তড়িঘড়ি পৌঁছান তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও।