বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ৫ জানুয়ারি থেকে শিরোনামে রয়েছে সন্দেশখালি। সেদিনই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে শেখ শাহজাহানের বাড়ি গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। প্রাণ বাঁচাতে রীতিমতো সেখান থেকে পালাতে হয় তাঁদের। এবার এই ঘটনার তদন্তেই চার্জশিট জমা দিল সিবিআই (CBI)। সেখানে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
CBI-এর চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, ED আধিকারিকের থেকে ফোন পাওয়ার পরেই শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) হামলার ছক কষেছিল। বেশ কয়েকজনকে ফোনও করেন তিনি। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগির, ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জিয়াউদ্দিন মোল্লা। এরপরেই সেখানে বহু মানুষ জড়ো হয়ে হামলা চালায় বলে খবর। ভাঙচুর করা হয় ED আধিকারিকদের গাড়ি।
প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে CBI আধিকারিকরা চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন, লোকসভা ভোট চলাকালীন সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) আবু তালেবের বাড়ি থেকে যে অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার হয়েছিল। জানুয়ারি মাসে ED হানার সময় তা শাহজাহানের বাড়িতেই ছিল। পরবর্তীকালে শেখ আলমগির তা আবু তালেবের বাড়িতে রেখে আসেন বলে দাবি করা হয়েছে। এই অস্ত্রগুলির মধ্যে বহু অস্ত্রের লাইসেন্স শাহজাহানের নামে রয়েছে। আবার এমনও অনেক অস্ত্র আছে যার কোনও লাইসেন্স নেই।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই অস্ত্রগুলি শাহজাহানের বাড়িতেই ছিল। পরবর্তীতে তা লোকানোর চেষ্টা করা হয়। শাহজাহানের ভাই এই অস্ত্রগুলি পরে আবু তালেবের বাড়িতে রেখে আসেন বলে দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ED পেটানোর এই ঘটনার তদন্তে CBI স্ক্যানারে পুলিশের ভূমিকাও উঠে এসেছে বলে খবর।
শাহজাহান মার্কেটে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর আক্রমণ চালানো হয়। ৭:৫৫ নাগাদ রাজবাড়ি ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা অফিসারকে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার খবর দেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু ফাঁড়ির তরফ থেকে তাঁকে মার্কেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে বলা হয় বলে খবর। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। CBI চার্জশিটে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে, তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট জমা দেওয়ার পর ED পেটানোর ঘটনায় যে নয়া মাত্রা যোগ হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।