উত্তরপ্রদেশে শিয়া ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকার বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। সংখ্যালঘু কল্যাণ রাজ্য মন্ত্রী মোহসীন রাজা এর অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডের দুর্নীতির তদন্ত CBI কে প্রদান করা হবে। এর আগে যোগী সরকার বোর্ডের সঙ্গে জড়িত সমস্থ লেনদেনের কেগ থেকে নিরীক্ষা করার আদেশ দিয়েছিল। যোগী সরকার শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের ৬ জন সদস্যকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। এই ৬ জনের মধ্যে সমাজবাদী পার্টির নেতারা ছিল যারা নিজেদের প্রভাবকে দুর্নীতি করার কাজে ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ সামনে এসেছিল।
এক মন্ত্রী তথ্য প্রমাণ দিয়ে বলেন যে ওয়াকফ সম্পত্তিতে করা দুর্নীতি ৫০০ কোটি থেকে ১০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। মোহসীন রাজা বলেন, ওয়াকফ কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তদন্তে দুটি বোর্ডেই বহু কোটি টাকার দুর্নীতির কথা সামনে এসেছিল। জানিয়ে দি, এর আগে ওয়াকফ কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ওয়াকফ সম্পত্তি গুলিকে বেআইনি ভাবে কেনা ও বেচার অভিযোগ যাচাই করার পর সত্যি হিসাবে ধরা পড়েছিল। একই সাথে এই দুর্নীতির উপর CBI তদন্ত করানোর কথা বলা হয়েছিল।
সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান ও তার বিবি CBI তদন্তের মধ্যে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আজম খান একটি টাকার লিজে নেওয়া সরকারি জমির উপর কব্জা করে জহর ট্রাস্ট এর নামে স্কুল খুলেছে। কিছু দিন আগে মওলানা সইদ কল্বে জব্বাদ বলেছিল উত্তরপ্রদেশের শিয়া বা সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির হয়েছে, তাই এর CBI তদন্ত করা দরকার। মন্ত্রী লক্ষীনারায়ণ বলেছেন, দুই বোর্ড ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। লোকজন দুর্নীতি অভিযোগ নিয়ে লাগাতার আসছে বলে দাবি করেন উনি। ওয়াকফ বোর্ডের সদস্যদের সাথে সাথে চেয়ারম্যানের উপরেও গম্ভীর অভিযোগ উঠছে।