বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিবিআইয়ের (CBI) হাতে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তের জালে অস্বস্তি ক্রমশ বেড়ে চলেছে তৃণমূল নেতার। এ প্রসঙ্গে বহু তল্লাশির পরেও এখনো পর্যন্ত অনুব্রতর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পায়নি সিবিআই। কয়েকদিন পূর্বে ব্যাঙ্ক একাউন্টে ১৭ কোটি টাকার খোঁজ মিললেও সেটি মূলত অনুব্রত ও তাঁর আত্মীয়দের নামে ফিক্সড ডিপোজিট করা রয়েছে। তবে এর মাঝেই এদিন বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের রাইস মিলে হানা চালালো তদন্তকারী অফিসাররা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রথমে নিরাপত্তা রক্ষীদের দ্বারা বাধা পেলেও অবশেষে মিলের ভেতর প্রবেশ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই সকল তথ্য এবং নথিপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকাল হতেই বোলপুরে ‘ভোলে বোম’ নামে একটি রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই অফিসাররা। সূত্রের খবর, এই রাইস মিলটি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা এবং তাঁর স্ত্রীয়ের নামে রয়েছে। ২০১১ সালে হারাধন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এই রাইস মিলটি ক্রয় করেন অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই মিলটিতে মাঝেমধ্যে বসতেন সুকন্যা। এক্ষেত্রে অবশ্য স্কুল শিক্ষিকা হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে সুকন্যার রাইস মিলে বসার কারণ নিয়ে বিস্তর জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিন বোলপুরের মিলটিতে প্রবেশ করতে অবশ্য প্রথমে বাধা পায় সিবিআই। তালা লাগানো মিলের গেটের সামনে আসতেই প্রথমে ডাকাডাকি করে সিবিআই অফিসাররা। তবে প্রথমে কেউই দরজা খুলতে চাননি এবং পরবর্তীতেও মিলের ভেতর প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৪০ মিনিট পর অবশেষে মিলের ভেতর প্রবেশ করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করে দিয়েছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে উঠে আসছে। এক্ষেত্রে তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামেও একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। একই সঙ্গে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এবং পুলিশ কর্মীদের দিকেও নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। এর মাঝেই এদিন অনুব্রতর স্ত্রী এবং কন্যার নামে থাকা রাইস মিলে তদন্ত চালিয়ে নয়া কোন তথ্য পায় গোয়েন্দা অফিসাররা, সেটাই দেখার।