বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সিবিআইয়ের মত গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে চলেছে কেন্দ্র সরকার, এই বিষয়ে একাধিক সময়ে নিজেদের ক্ষোভ জাহির করে আসে তৃণমূল দল সহ একাধিক বিরোধীরা। অতীতে সিবিআইয়ের তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীদের আর এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে দলে আসা বাবুল সুপ্রিয়র এককালীন অতিরিক্ত ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই।
কেন্দ্রে ভারী শিল্প দফতরে 2016 থেকে 2019 পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই সময় বিজেপি দলের হয়ে নিজের কার্যভার সামলানো বাবুলের অতিরিক্ত ব্যক্তিগত সচিব ছিল সুশান্ত মল্লিক। এদিন তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এছাড়াও ইপিআইএল সংস্থার একাধিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, সংস্থার বেশ কিছু আধিকারিক এবং সুশান্ত মল্লিক মিলে আশুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তিকে বেআইনিভাবে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন। 2016 সালে সেই ঘটনায় আশুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে 50 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে তারা। এ ক্ষেত্রে মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এসপিএস বক্সীর নাম। সিবিআই আরো জানায়, এই ঘটনায় সুশান্ত মল্লিকের বিরুদ্ধে 5 লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
বাবুল সুপ্রিয় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর অতিরিক্ত ব্যক্তিগত সচিবের পদ সামলায় অভিযুক্ত সুশান্ত মল্লিক। শুধু তাই নয়, একদা রেলমন্ত্রী নিতীশ কুমার এবং পরবর্তীকালে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ব্যক্তিগত সচিব পদে নিযুক্ত হয় সুশান্ত। এ ব্যাপারে এদিন বাবুল সুপ্রিয়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, “আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন 2016 সালের মামলার এফআইআর করা হলো 2021 সালে আর এখন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে। তাহলে ভাবুন 50 লাখ টাকার একটি মামলায় সিবিআই যদি এত বছর সময় লাগায়, তাহলে আরো বড় মামলায় তারা কি করবে? এদের বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই।”
এই বিষয়ে এদিন বাবুল বিজেপিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে বলেন, “বর্তমানে আমার নাম যে কোন ঝামেলায় জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাংলায় এক বিজেপি নেতা রয়েছে যিনি দিল্লিতে গিয়ে আমার নাম কোনো না কোনো মামলায় জুড়ে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন।” বলে রাখা ভালো, অভিযুক্ত সুশান্ত ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কোনোকালেই বাবুল সুপ্রিয়র পছন্দের পাত্র ছিল না আর সেই কারণেই পরবর্তীকালে তাকে বদলি করে অন্য এক সচিব নিযুক্ত করেন বাবুল।