বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারের পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করে। এদিন বোলপুরে (Bolpur) অনুব্রতর রাইস মিলে তল্লাশি চালানোর পর সিবিআইয়ের (CBI) হাতে উঠে এলো একাধিক বিস্ফোরক তথ্য! এ সকল তথ্যগুলিকে কেন্দ্র করেই তদন্তকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেস এ মামলায় বীরভূম জেলা সভাপতির পাশে দাঁড়িয়েছেন, আবার অপরদিকে, পাচার কাণ্ডে অনুব্রতর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলেই অনুমান সিবিআইয়ের। এ প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত তৃণমূল নেতার নামে বিশাল পরিমাণ কোন সম্পত্তির হদিশ মেলেনি। এক্ষেত্রে অনুব্রত তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি আড়াল করতে আত্মীয় থেকে শুরু করে কর্মীদের নামেও সেগুলি ক্রয় করতেন বলে দাবি করে আসছিল তদন্তকারী অফিসাররা। এদিন বোলপুরে অনুব্রতর রাইস মিলে তল্লাশি চালানোর পর তাদের সেই দাবি একপ্রকার সত্য হলো।
এদিন সকালে ভোলে বোম রাইস মিলে পৌঁছে যায় সিবিআই। শুরুতে প্রবেশে বাধা দেওয়া হলেও পরবর্তীতে ভেতরে ঢুকে প্রায় ৬ ঘন্টা ধরে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এক্ষেত্রে মিলের ভিতর থাকা একাধিক গাড়ি দেখে হতবাক হয়ে পড়েন তদন্তকারী অফিসাররা। উল্লেখ্য, বর্তমানে রাইস মিলটি অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী এবং তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে রয়েছে। সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে এটি ক্রয় করেন অনুব্রত। তবে বর্তমানে রাইস মিলে ডিরেক্টরের নাম সামনে আসতেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।
সিবিআই সূত্রের খবর, একজন ডিরেক্টর সুকন্যা হলেও অপরজন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচারক! তার পরিচয় প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে ডিরেক্টর পদে পরিচারকের থাকা নিয়েই একাধিক ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রথম থেকে সিবিআই দাবি করে আসে যে, নিজের নামে সম্পত্তি না রেখে আত্মীয়, এমনকি পরিচারক থেকে শুরু করে একাধিক কর্মীদের নামেও সম্পত্তি ক্রয় করেন অনুব্রত। এদিন অবশেষে তাদের সেই দাবি প্রমাণিত হলো। এক্ষেত্রে পরিচারকের নামে সম্পত্তি ক্রয় করা আসলে অনুব্রতর কৌশল বলেই অনুমান তাদের।
এদিন রাইস মিলের ভেতর একাধিক গাড়ি রাখা থাকলেও সেগুলি কোনটাই তৃণমূল নেতার নামে ক্রয় করা হয়নি বলেই জানা দিয়েছে। তবে হাল ছাড়তে নারাজ সিবিআই, পরিচারকের সূত্র ধরে বর্তমানে আরো একাধিক তথ্য জোগাড় করতে মরিয়া তদন্তকারী অফিসাররা।