বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল দুপুর ১২ টা থেকে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) বাড়িতে চলছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় বাহিনী সমেত এখনও সেখানে চলছে টানা তল্লাশি। বর্তমানে সেখানে হাজিরা রয়েছে সিবিআই এর মোট ছ’টি দল। এরই মধ্যে সূত্রের খবর, জীবনকৃষ্ণের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় দু’বস্তা নথি (Documents)। যার মধ্যে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এবং নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চাকরি প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
দেখতে দেখতে ২৪ ঘণ্টা পার হতে চললেও এখনও চলছে টানা তল্লাশি। অন্যদিকে, বিপুল নথির পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়কের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ডায়েরি। সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের ওই ডায়েরিতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত লেনদেনের হিসেব লেখা থাকতে পারে। অন্যদিকে গতকাল দুপুর ২টায় সিবিআই আধিকারিকরা তার রঘুনাথগঞ্জের শ্বশুরবাড়িতেও তল্লাশি চালায়। যার মাধ্যমে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে বলে দাবি করেছে গোয়েন্দাদের ওই সূত্র।
বর্তমানে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির সামনে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি এদিন সকাল থেকে মোতায়েন রয়েছে রাজ্য পুলিশ। সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল বিধায়কের দুটি মোবাইলই ফেলে দেওয়া হয়েছিল বাড়ি লাগোয়া পুকুরের জলে। অভিযোগ জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে গিয়ে দুটো মোবাইল পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। তথ্য লোপাট করতেই এই কৌশল? কী এমন গোপন তথ্য ছিল বিধায়কের ফোনে যেই কারণে একেবারে পুকুরে ফেলতে হল ফোন? উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে, গতকাল থেকে প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে পেরিয়ে গেলেও এখনও খোঁজ চলছে সেই জোড়া ফোনের। সিবিআই সূত্রে খবর, রাতে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় মোবাইল খোঁজার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে এদিন সকাল থেকেই ফের শুরু হয়েছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, মোবাইল খুঁজে বার করতে আনা হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর।
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্থানীয় এক এজেন্টে কৌশিকের নাম সামনে আসে। এরপরেই শুরু হয় খোঁজখবর। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই এজেন্টের সূত্র ধরেই বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম উঠে এসেছে।