বাংলাহান্ট ডেস্ক : বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতেই ছেড়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতন রীতিমতো মাঠে নেমে পড়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এরই মধ্যে রবিবার ম্যারাথন জেরা করা হল বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে। রবিবার সকাল থেকে একটানা আট ঘন্টা ধরে চলল এই জেরা। আনারুলকে জেরার ফলে যে বেশ অনেক তথ্যই উঠে আসতে পারে এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে এই মুহুর্তে।
রামপুরহাটে অস্থায়ী ক্যাম্প এবং কার্যালয় তৈরি করেছে সিবিআই। সেখানেই জেরা করা হয় আনারুল হোসেনকে। প্রথম থেকেই পুলিশের দাবী ছিল পুরো ঘটনাটির পিছনে রয়েছে আনারুলেরই পরিকল্পনা এবং মাথা। সেই কারণেই আরও বেশ কয়েকবার দফায় দফায় জেরা করা হতে পারে তাকে। রবিবার ম্যারাথন জেরার পর প্রথমে আনারুলকে রামপুরহাট হাসপাতাল এবং পরে থানায় নিয়ে যায় সিবিআই। তবে এই মুহুর্তে আবার কবে তাকে জেরা করা হবে, তা অবশ্য জানা যায়নি।
অন্যদিকে আজই সকাল ১০ টায় অপর আর একজনকেও তলব করেছে সিবিআই৷ তিনি হলেন রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডে মৃতদের আত্মীয় এবং পুরো ঘটনাটির অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী মিহিলাল শেখ। সে রাতে এই নারকীয় হত্যালীলা নিজের চোখেই দেখেছিলেন মিহিলাল। সেই ভয়ঙ্কর রাতে দেখা নৃশংস ঘটনার কথা একাধিকবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি। এবার তাঁকেই জেরার জন্য ডেকে পাঠালো সিবিআই।
আর এই তলবের পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, অপরাধীদের বদলে আক্রান্তের পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়কে কেন জেরা করতে চায় সিবিআই? এই প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে যে, যেহেতু মিহিলাল পুরো ঘটনাটারই প্রত্যক্ষদর্শী, সেই কারণেই তাঁর সঙ্গে কথা বললে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের কর্তারা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেদিন রাতে ঠিক কী হয়েছিল তা বোঝার চেষ্টা করবেন গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, ওই দিন রাতের আগুনে পুড়ে গিয়েছিল বগটুইয়ের নাজেমা বিবির শরীরের প্রায় ৬৫%ই। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। বর্তমানে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলেই খবর। আপাতত ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে তাঁকে। আহত মহিলার নিরাপত্তায় কড়া পুলিশি পাহারা হাসপাতালের বাইরে। নাজেমা বিবি শুধু সে রাতে আক্রান্তই নয়, অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শীও বটে। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে কি তাঁর সঙ্গেও কথা বললেন সিবিআই কর্তারা? সেটাই এখন দেখার।