সোহেলের বাড়িতেই নাবালিকার রক্তক্ষরণ? সিবিআইয়ের হাতে হাঁসখালি কাণ্ডে নয়া তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাঁসখালি নাবালিকা ধর্ষণ ও মৃত্যু কাণ্ড নিয়ে রহস্য দিনের পর দিন আরো ঘনীভূত হয়ে চলেছে। ঘটনাটি সামনে আসার পর পুলিশ প্রশাসনের গাফিলতি, মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য এবং পরে উচ্চ আদালতের দ্বারা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রতিটি পদে পদে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

হাঁসখালি কাণ্ডের প্রথম থেকেই যেমন বিরোধী দল থেকে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনি ভাবে এই ঘটনায় শাসকদলের জড়িত থাকার অভিযোগও উঠতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকে। আর এবার সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর থেকেই উঠে আসছে একের পর এক তথ্য।

বর্তমানে হাইকোর্টের নির্দেশের পর থেকেই তৎপর হয়ে উঠেছে সিবিআই। কখনো নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করা তো কখনো আবার শ্মশান থেকে অভিযুক্তের বাড়ি তদন্তকে কিনারায় পৌঁছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বত্র তাদের চেষ্টা জারি রয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, অভিযুক্ত সোহেলের বাড়ির পেছনের দিক থেকে একটি ফোনও উদ্ধার করেছে তারা। এছাড়াও সোহেলের বাড়ির মেঝেতে রক্তের চিহ্ন এদিন আবিষ্কার করে সিবিআই অফিসারদের একটি দল। তদন্তে ফরেনসিক অফিসারদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, তদন্ত-এর শুরু থেকেই নাবালিকার দেহ পোড়ানো নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ধর্ষিতার বাবা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান যে, অভিযুক্তরা জোর করে তার মেয়ের দেহ তুলে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ফলে গতকাল সিবিআই শ্মশান কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলেও জানা গিয়েছে। সিবিআই বর্তমানে অফিসার সোহেল ও শ্মশানকর্মীকে একসাথে বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এখানে প্রধান যে বিষয়গুলি জিজ্ঞাসা করা হতে পারে, তার একটা আন্দাজ মিলেছে। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে এদিন রক্তের চিহ্ন পাওয়ার ফলে সিবিআই এর প্রধান প্রশ্ন হলো এখন এই যে, “সোহেলের বাড়িতেই নাবালিকাটির রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল কিনা?”

এছাড়াও নাবালিকাকে ধর্ষণের পর তাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কে গেছিল, কিংবা যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে তার পেছনে কারণ কি? এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে নাবালিকাটির আদেও কোন প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা, এসকল বিষয়ে তাদের জেরা করতে চলেছে সিবিআই।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর