বাংলাহান্ট ডেস্ক: আজই জানা গিয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput) মামলায় হচ্ছে সিবিআই (CBI) তদন্ত। বিহার সরকারের আর্জি মেনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল। নোটিশ পাওয়ার পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে সিবিআই তদন্ত।
বিহার সরকার সুশান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করার পরেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল সংস্থার তরফে। এখন নোটিশ পাওয়ার পরেই অবিলম্বে শুরু হয়ে গেল তদন্ত। অপরদিকে ইডির তরফে শুক্রবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে অভিনেতার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে।
সুশান্ত মামলার তদন্ত পাটনা থেকে মুম্বই নিয়ে আসার আর্জির শুনানি হয় আজ সুপ্রিম কোর্টে। মুম্বই পুলিসকে তিন দিনের মধ্যে এই বিষয়ে তাদের মতামত দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এক সপ্তাহ পরে ফের শুনানির তারিখ ধার্য হয়েছে।
#BREAKING: CBI registers FIR in the Sushant Singh Rajput case after Bihar Government recommends CBI probe into the case. CBI probe formally begins today after they received the notification. #CBIForSushant
— Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) August 5, 2020
Enforcement Directorate (ED) has also summoned Sushant Singh Rajput’s girlfriend Rhea Chakraborty to appear before the agency for questioning on Friday morning.
— Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) August 5, 2020
অতি সম্প্রতি সুশান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় বিহার সরকার। এই মামলায় তদন্তের জন্য মুম্বই পৌঁছান পাটনা পুলিসের এসপি বিনয় তিওয়ারি। কিন্তু সেখানে পৌঁছে তদন্ত করা তো দূর, উপরন্তু বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশন জোর করে তাঁকে কোয়ারেন্টাইন করে বলে অভিযোগ। আগামী ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁকে কোয়ারেন্টাইনেই থাকার নির্দেশ দেয় বিএমসি।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মুম্বই পুলিসের উদ্দেশে তোপ দাগেন বিহার ডিজিপি জি পান্ডে। তাঁর কথায়, “একজন আইপিএস অফিসারকে জোর করে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকারের যদি নিজের পুলিসের প্রতি এতই গর্ব থাকে তাহলে আমাদের জানানো হোক গত ৫০ দিন ধরে সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলায় কি কি তদন্ত হয়েছে। মুম্বই পুলিস আমাদের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এর স্পষ্ট মানে কোথাও একটা গড়বড় আছে।”
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নারায়ণ রানে দাবি করেন সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সেই ধর্ষণের কথা জানতে পেরে যাওয়াতেই খুন হতে হয় সুশান্তকেও।