বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর তিন দিন সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রমাণ হাতে লাগেনি সিবিআইয়ের (CBI)। সূত্রের খবর, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়েও এখনো পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের নামে বিশাল পরিমাণের সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ জায়গায় বেনামী সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তবে বর্তমানে সকল বাধা পেরিয়ে তদন্তের জাল গোটাতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বর্তমানে তাদের হাতে উঠে এসেছে অনুব্রত-কন্যার নামে থাকা বেশ কয়েকটি কোম্পানি। এই সকল কোম্পানিগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আদান-প্রদান হতো বলেও জানা গিয়েছে এবং সেই সূত্র ধরে সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে সিবিআই; বর্তমানে এমন খবরই সামনে উঠে আসছে।
এছাড়াও সিবিআইয়ের র্যাডারে রয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন নেতা এবং পুলিশ কর্মীর নাম। এক্ষেত্রে এক মাসের ওপর হেফাজতে থাকা সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। সেই সূত্র ধরেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সকল ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে তারা।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের দুটি কোম্পানির ওপর নজর রয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের। ২০১৭-এর আগে এ সকল কোম্পানিগুলি একটি বেসরকারি সংস্থার অধীনে থাকলেও পরবর্তীতে এগুলোর দায়িত্ব নিজেদের হাতে নেন অনুব্রত ও তাঁর পরিবার। বিগত বেশ কয়েক বছরে এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার আদান প্রদান হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এত বিশাল পরিমাণ টাকা এল কোথা থেকে, সে প্রসঙ্গে একের পর এক প্রশ্ন চিহ্ন উঠে এসেছে আর এবার কোম্পানিগুলির নথি দেখার পাশাপাশি অনুব্রত কন্যাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে সিবিআই।
বর্তমানে তদন্তকারী অফিসারদের নিকট গরু পাচার হওয়ার পিছনে রহস্য ধীরে ধীরে উন্মোচন হতে শুরু করেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৫-২০১৭ সালের মধ্যে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ সীমান্তে বিএসএফ অফিসার সতীশ কুমার দায়িত্বে থাকাকালীন গরু পাচার কাণ্ড ধরা পড়লেও সেই সময় প্রতি গরু পিছু ২০০০ টাকার বিনিময়ে সেই সকল দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেগুলি ইলামবাজার গরু হাটের মাধ্যমে মুর্শিদাবাদ সীমান্তে পৌঁছে যেত বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এখন প্রশ্ন, গরু পাচারের টাকা কেবলমাত্র সায়গল হোসেন কিংবা অভিযুক্ত বিএসএফ আধিকারিকের পকেটে ঢুকেছিলো, নাকি এতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল? বর্তমানে এ সকল জট ছাড়াতেই ব্যস্ত সিবিআই।