বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে বড়সড় ধামাকা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ডকারী সংস্থা। সিবিআই-এর দেওয়া চার্জশিটে কদিন আগেই উঠে এসেছে ‘জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। আর এবার জানা গেল, এই তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম রয়েছে ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্স’ কোম্পানিরও।
নিয়োগ মামলায় (Recruitment Scam) জড়াল এক মহিলার নাম
জানা যাচ্ছে, নিয়োগ মামলায় (Recruitment Scam) অভিযুক্ত কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অরুণ কুমার হাজরা ওরফে ‘চিনু-দা’ নামে একজন এজেন্ট ছিলেন। তার অধীনে আবার একাধিক সাব এজেন্ট রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবী এই সাব এজেন্টদের থেকে কবে কত টাকা পেতেন তা আবার ডায়েরিতে লিখে রাখতেন ‘কাকু’। সিবিআই চার্জশিটের ১৪ নম্বর পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে ‘লিপ্স এন্ড বাউন্ডস সংস্থার’ নিউ আলিপুরের অফিস ও বেহালায় নিজের বাড়িতে বসেই এই বেআইনি নিয়োগের ঘুষের টাকা নিতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
সিবিআই সূত্রে খবর, ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্স’ কোম্পানির রিসেপশনিস্ট সুস্মিতা চক্রবর্তীর ইমেলে পৌঁছেছিল মোট ১৫৭ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর তালিকা। আর সেই তালিকা পাঠানো হয় ‘কালীঘাটের কাকুর’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ইমেলে। গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানিয়েছেন আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা থেকে জানা যাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত শুরু হতেই নাকি সব ডায়েরি নষ্ট করে দিয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’। শুধু নিজের নয়, একইসাথে তার ঘনিষ্ঠ নিখিল হাতির মেইল আইডি ডিলিট করিয়েছিলেন কাকু। এমনকি নষ্ট করানো হয় অন্য দুই এজেন্টের ফোনও। কিন্তু এত কিছুর পরও শেষ রক্ষা হয়নি। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা চলে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই! এবার মমতাকে চিঠি অধীরের, কী দাবি?
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবী, ইমেল আইডি ডিলিট করায় এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪ সালে নিজের এজেন্ট মারফত প্রাথমিকের ১৫৭ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা ‘কাকুর’ কাছে ইমেল করিয়েছিলেন অরুণ হাজরা ওরফে ‘চিনু-দা’। সিবিআই সূত্রের দাবি, এই ১৫৭ জন অযোগ্যদের মধ্যে ৫১ জন ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে চাকরিও করছে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবী অরুণ হাজরার এজেন্টরাও ডায়েরিতে ঘুষের টাকা সংগ্রহের রোজকার হিসাব সমেত দিনক্ষণ সবই উল্লেখ করে লিখে রাখতেন। আর সেই টাকা টাকা পাওয়ার পর তাতে সই করতেন ‘চিনু’দা। জানা যাচ্ছে, এরকম মোট ১০টি ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।