বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরু পাচার কাণ্ডকে (Cattle smuggling) কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গ্রেপ্তারির পর থেকেই উঠে আসছে ‘কেষ্ট’ ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিত্বের নাম।
এবার সিবিআইয়ের (CBI) নজরে এসেছে অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক বিজয় রজক ও অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার গাড়ির চালক তুফান। ইতিমধ্যেই, এই দুইজনকে সিবিআইয়ের তরফে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ঠিক কী উপায়ে কালো টাকাকে সাদা করা হত সেই নিয়েই রীতিমতো মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চর্চা করছেন সিবিআইয়ের দুঁদে অফিসাররা।
জানা গিয়েছে, অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক বিজয় আবার চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে লাভপুর কলেজের সাথে যুক্ত রয়েছে। গোয়েন্দাদের তরফে বলা হয়েছে যে, বিজয় রজক ও তুফানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করার ইঙ্গিত মিলেছে। আর তারপরেই শাসকদলের এই নেতার দুই ঘনিষ্ঠকে তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই।
একই সঙ্গে সিবিআই সূত্রের খবর, বিজয় ও তুফানের অ্যাকাউন্টে যে বিপুল অর্থের হদিশ মিলেছে তা গরুপাচার চক্রের সঙ্গেই যুক্ত। ইতিমধ্যেই, সিবিআই আধিকারিকরা ব্যাঙ্ক থেকে সেই বিষয় সংক্রান্ত নথিও উদ্ধার করে ফেলেছেন। তবে একই সঙ্গে অনুব্রতর বাড়ির আরেক পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সিবিআইয়ের তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, তদন্তকারীদের বিশ্বজ্যোতিবাবুর দাবি, তাঁর নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়টি তিনি নাকি জানতেনই না। এমনকী ব্যাঙ্কের নথিতে সই করানোর সময় কত টাকা লেনদেন হচ্ছে তাও জানতে পারতেন না তিনি। সব মিলিয়েই গোয়েন্দাদের অনুমান, ঠিক যেমনভাবে বিজয় ও তুফানকে দিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে কালো টাকা সাদা করত ‘অনুব্রত অ্যান্ড কোং’ ঠিক তেমনভাবেই দিনের পর দিন ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বজ্যোতিবাবুর অ্যাকাউন্টও।