বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর কাণ্ডে (RG Kar) একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে সামনে আনছে সিবিআই (CBI)। যা শুনে কার্যত ভিরমি খাওয়ায় জোগাড়। আগেই আর জি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এদিকে শনিবার আর জি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রাখা হয়েছে তাদের। এরই মাঝে এবার সুপ্রিম কোর্টে এই ওসির সঙ্গে মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের যোগসূত্র ‘ফাঁস’ করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি (CBI)।
আর জি কর মামলার সুপ্রিম শুনানিতে সিবিআই তরফে দাবি, হাসপাতালে মধ্যপ অবস্থায় ঘুরে বেড়াত আর জি কর ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়। হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত ছিল সঞ্জয়ের। শুধু তাই নয়, পূর্বপরিচিত সঞ্জয় ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে সিবিআই।
আগেই চাঞ্চল্যকর দাবি করে সিবিআই তরফে বলা হয়, ধৃত ওসি-র ষড়যন্ত্রের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল সঞ্জয় রায়কে আড়াল করা। সঞ্জয়কে আড়াল করতেই খুনের পর ছক কষা হয়েছিল বলে অনুমান CBI- র। এদিন শিয়ালদহ কোর্টে পেশ করা হয় অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও সন্দীপ ঘোষকে। সেখানেই সিবিআই এর দাবি, আগের থেকেই যোগাযোগ ছিল সঞ্জয় রায় ও টালা থানার ওসি। ফোনেও অভিজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে ধৃত সঞ্জয়ের। এমনই বিস্ফোরক দাবি CBI- র। অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়।
এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বর মিলেছে। ঘটনার পরে তিনি কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ফোন নম্বর থেকে সেই সংক্রান্ত তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। ওসির ফোন পরীক্ষা করেই সিভিক ভলান্টয়ার সঞ্জয় রায়কে আগে থেকে চিনতেন অভিজিৎ মণ্ডল এমন তথ্য মিলেছে। বিভিন্ন সময় ২ জনের মধ্যে ফোনে কথাবার্তা হয়েছে বলেও আদালতে দাবি করে সিবিআই।
আরও পড়ুন: ‘রায় কবে দেবেন?’ প্রধান বিচারপতিকে প্রশ্ন ঊষা উত্থুপের, কী জবাব দিলেন সিজেআই চন্দ্রচূড়?
সিবিআইয়ের তরফে দাবি, তরুণী মৃত্যুর খবর পেয়েই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন অভিজিৎ মণ্ডল। কেন ঘটনার এফআইআর দায়ের করতে ১৪ ঘণ্টা সময় লেগেছিল, তাহলে কি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্যই সব কিছু? তদন্ত করে দেখছে সিবিআই। সিবিআইয়ের আরও দাবি, ঘটনার দিন অভিজিৎ মণ্ডলের বহুবার ফোনে কথা হয়েছে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের। সন্দীপের ঘোষের নির্দেশেই তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।