বাংলাহান্ট ডেস্ক : একাধিক মামলার চাপ। অভিযুক্তের সংখ্যাও বাড়ছে হুহু করে। তাই কলকাতা শহরে গারদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই (CBI)। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার মতো অভিযুক্তদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই। সেই তুলনায় গারদ নেই তাদের। শুধু গারদ নয়। এর পাশাপাশি নতুন একটি অফিসও খুলতে চাইছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সম্প্রতি নতুন অফিসের জন্য আলিপুরের ২/৫ এ জাজে’স কোর্ট রোডের বিএসএনএল-এর একটি ১০ তলা বাড়ির অধিকাংশটাই ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের জানা যাচ্ছে। সেখানে অফিস সঙ্গেই একটি গারদও তৈরি হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় লোকেদের গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এরপরে সেখানে গিয়ে রাখা হবে। এতদিন কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতরে তাদের নিজস্ব কোনও গারদই ছিল না। সারদা মামলা শুরুর আগে কলকাতায় সিবিআই তেমন কাউকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেনি।
বর্তমানে রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার দায়িত্ব রয়েছে সিবিআই-র হাতে। সারদা মামলায় গ্রেফতারের পরে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সারা দিন জেরার পর রাতে পাশের থানায় নিয়ে গিয়ে রাখতে হয়েছে অভিযুক্তকে। পর দিন সকালে আবার সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসতে হয়েছে। বর্তমানে কলকাতার নিজাম প্যালেসের দু’টি তলা এবং সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের দু’টি তলায় রয়েছে সিবিআইয়ের অফিস।
সিবিআই-র তরফ থেকে বলা হয়, ২০১৯-এর পর থেকে পূর্বাঞ্চলীয় দফতরে একের পর এক মামলা আসতে শুরু করে। গরু পাচার, কয়লা পাচার, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা এবং সম্প্রতি শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এত তদন্ত সামলাতে গিয়ে কম পড়ে গিয়েছে অফিসের জায়গাও। সিবিআইয়ের এক পদস্থ কর্তার দাবি, ‘অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের গারদে রাখা নিয়ে জায়গার নানা সমস্যা দেখা দেয়। তা ছাড়া বিভিন্ন মামলার যোগসূত্রে দিল্লির সদর দফতর ও অন্য রাজ্যের অফিসারেরা তদন্তে সহযোগিতা করতে নিয়মিত যাতায়াতও করছেন।
মাস ছয়েক আগে বিএসএনএল-এর ওই অফিস ভাড়া নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। বিএসএনএল সূত্রের জানা যাচ্ছে, আলিপুরের ১০ তলা বাড়িটির অধিকাংশ অফিসই এখন খালি। সেখানে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি অফিস রয়েছে। সিবিআইয়ের কর্তারা বিএসএনএল-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে অফিস তৈরির জন্য চুক্তি করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।