পুরসভার অস্থায়ী খালাসি থেকে কোটিপতি! গরুপাচার মামলায় এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠর বাড়িতে হানা CBI-র

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরু পাচার মামলায় ফের এক অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এর বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের বোলপুরের কালিকাপুর এর বাড়িতে আজ তল্লাশি চালাতে যায় সিবিআই। সূত্রের খবর, বোলপুর পুরসভার গাড়ির অস্থায়ী খালাসি ছিলেন বিদ্যুৎ বরণ। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তার সেই চাকরি পাকা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় তার রাজকীয় উত্থান। দামি বাড়ি করা থেকে শুরু করে বিপুল সম্পত্তির মালিক হন বিদ্যুৎ বরণ গায়েন। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ এই বিদ্যুৎ বরণ গায়েন এবার সিবিআই এর নজরে।

বিদ্যুৎ বরণ গায়েন অনুব্রত মণ্ডলকে “বাবা” বলে ডাকতেন।সেই “বাবার” গরু পাচার মামলায় সিবিআই এর হাতে গ্রেফতারির পর রীতিমত অস্বস্তিতে তিনি। আজ দুপুরে একটা নাগাদ বিদ্যুৎ বরণের বোলপুরের কালিকাপুরের বাড়িতে পৌঁছায় সিবিআই এর প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এছাড়াও বাড়ির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা।

জানা গিয়েছে, বোলপুরের এই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছিলেন বিদ্যুৎ। তিনি আদতে জয়নগরের বাসিন্দা। তার বাবা কর্মসূত্রে বোলপুরে আসার কারণে বিদ্যুতের এই অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ স্থাপন হয়। এরপর তিনি বোলপুর পুরসভায় গাড়ির অস্থায়ী খালাসি হিসাবে যোগদান করেন।

সূত্র মারফত খবর, রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর অনুব্রত মণ্ডলের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে বিদ্যুতের। ঘনিষ্ঠতা এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছায় যে অনুব্রত তাকে একাধিক সংস্থার ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত করেন। এ এন এম অ্যাগ্রো কেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেড ও নীড় ডেভলপার নামক অনুব্রতর দুটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন এই বিদ্যুৎ। সিবিআই এর ধারণা গরু পাচারের টাকা এই সংস্থাগুলিতে লাগিয়েছিলেন অনুব্রত।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর