বাংলা হান্ট ডেস্ক: ওএমআর (OMR) শিট দুর্নীতিতে তল্লাশি অভিযান সিবিআইয়ের (CBI)। হাওড়ার জগাছা ও দাসনগরে তল্লাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই এই অভিযান বলে জানা যাচ্ছে। মোট পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই তল্লাশি শুরু হয়েছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামের এক সংস্থাকে। সেই সংস্থার কর্তা কৌশিক মাজিকে এর আগে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। তাঁকে ওএমআর শিট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। ওই সংস্থার অফিস, গোডাউন, এমনকী কর্তা-কর্মীদের বাড়িতেও মঙ্গলবার তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। ওই সংস্থার কর্তার ফ্ল্যাটে আটজন আধিকারিক তল্লাশি চালান।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষায় পর্ষদ এবং ওই সংস্থার সঙ্গে ওএমআর শিট মূল্যায়ন করার জন্য চুক্তি হয়। কিন্তু ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থী। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, ওএমআর শিটের ডিজিটাইজড ডেটায় অনেক ভুল রয়েছে। আদালতে যে ওএমআর শিটের তথ্য বলে যে নথি পেশ করা হয়েছে তা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়, কারণ ওএমআর শিটের ডিজিটাল ডেটা (Digital Data) বলতে যা বোঝায় তা আসলে স্ক্যান করা কপি। কিন্তু এক্ষেত্রে পর্ষদ আদালতে যা পেশ করেছে তা টাইপ করা তথ্য।
মামলাকারীর এই বক্তব্য শোনার পরই সিবিআইকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। কীভাবে এই ফাঁকি থেকে গেল তা জানতে চেয়ে বিচারপতি বলেন, অভিযুক্তদের যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করার দরকার ছিল তা করা হয়নি। গত বুধবার এই ব্যাপারেই সিবিআইকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেছিলেন, ‘সিবিআই তো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নই করেনি। কী প্রশ্ন করবে সেটাও কি আমাকে বলে দিতে হবে? আপনাদের কাজ কি মানুষকে বোকা বানানো? এর চেয়ে উলুবেরিয়া থানা দিলে ভালো হত।’ এরপরেই ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে থাকা সংস্থার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এরপর মঙ্গলবার তল্লাশি অভিযান চালাল কেন্দ্রীয় সংস্থা।