বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই দারুন সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ওরফে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এই তদন্তকারী অফিসারদের হাতেই একের পর এক গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। পশ্চিমবঙ্গে ইডির হাত ধরেই নেতা মন্ত্রীদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকার বান্ডিল। এবার এই ইডি অফিসারের বাড়ি থেকেই পাহাড় প্রমাণ নোটের বস্তা উদ্ধার করল সিবিআই (CBI)।
ইডি (Enforcement Directorate) অফিসারের বাড়িতে CBI হানা
অভিযোগ ঘুষের টাকা নিজের বাড়ি এবং দপ্তরে গচ্ছিত রেখেছিলেন ওই ইডি (Enforcement Directorate) কর্তা। যদিও বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হলেও গ্রেপ্তার করা যায়নি মূল অভিযুক্ত ইডি অফিসারকে। তবে এদিন ওই বাড়ি থেকে তার ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে মূল অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশিতে নেমেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
হিমাচল প্রদেশের সিমলার বাসিন্দা ওই ইডি অফিসার এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) সহকারী ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। সিবিআই-এর চন্ডিগড় দপ্তরে সম্প্রতি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ওই এফ আই আর এর ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে অভিযুক্তের বাড়িতে পৌঁছান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
এপ্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন ওই ইডি কর্তা এবং তার ভাই আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ আইনে তিন বছর আগের একটি মামলায় অভিযুক্ত। তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই মামলার তদন্তের সূত্রেই বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন তদন্তকারী অফিসাররা।
আরও পড়ুন: ইডির হাতে এল মেরুন ডায়েরি! পর্দা ফাঁস রেশন দুর্নীতির বড় সিন্ডিকেটের
সিবিআই সূত্রে খবর ওই অভিযুক্ত ইডি কর্তার বাড়িতে প্রথম দফার তল্লাশিতে পাওয়া গিয়েছিল মোট ৫৪ লক্ষ টাকা। যা তিনি ঘুষ হিসেবে নিয়েছিলেন।ওইদিন বাড়িতে মূল অভিযুক্ত অফিসার ছিলেন না। কিন্তু তার ভাইকে হেফাজতে নিয়েছে সিরিআই।পাশাপাশি একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এছাড়া দ্বিতীয় দফায় ইডি অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আরো ৫৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে মোট এক কোটি দশ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে ওই অফিসারের বাড়ি থেকে। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। জানা যাচ্ছে, চন্ডিগড় এবং সিমলার সিবিআই আধিকারিকদের যৌথ দল মিলেই এই অভিযান চালিয়েছিলেন।