বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) দ্বারা সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ক্রমশ তদন্তের জাল গুটিয়ে আনতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। একের পর এক বড় নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি বর্তমানে তাদের নজরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস। এদিন সকাল নটার সময় পর্ষদের অফিসে পৌঁছে যায় তারা আর এবার পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গাঙ্গুলি বাড়িতে পৌঁছে গেল সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সেখান থেকে তাঁকে তুলে আনা হয়েছে পর্ষদের অফিসে।
এদিন সকাল হতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই সময় সেখানে ডাকা হয় চেয়ারম্যান কল্যাণময় গাঙ্গুলিকে। তবে সেই মুহূর্তে উপস্থিত না থাকায় অবশেষে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই এবং এরপরে তাঁকে অফিসের নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে খবর। ফলে জিজ্ঞাসাবাদে শেষে নতুন কি তথ্য উঠে আসে, সেটাই দেখার।
কল্যাণময় গাঙ্গুলির পাশাপাশি এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপরে দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। যদিও বর্তমানে সেই তল্লাশিতে কি পাওয়া গিয়েছে, তা সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে আগামী দিনে একাধিক নতুন তথ্য উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অতীতে শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য প্রধানত দায়িত্বে থাকতো স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ হতো। কিন্তু বর্তমানে নিয়ম অনুযায়ী, স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি প্যানেল তৈরি করে সেটি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে পাঠায় এবং তাদের দ্বারাই শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের নজর যে পর্ষদের দিকে রয়েছে, তা বলা বাহুল্য।
এদিন পর্ষদের অ্যাডমিন পারমিতা রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এছাড়া অন্যান্য একাধিক কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তাদের। ডিরোজিও ভবনে পৌঁছে সেখানে কম্পিউটার, hard disc সহ অন্যান্য একাধিক নথি খতিয়ে দেখে তারা। এক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিএ জাল ঠিক কত দূর বিস্তৃত রয়েছে, সে বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে অবগত হওয়ার জন্যই গোয়েন্দা সংস্থার এই অভিযান বলে মত বিশেষজ্ঞদের।