বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত আগস্ট মাস থেকেই কলকতার আরজিকর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যা কান্ডের পর ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল গোটা বাংলা। ঘটনার নৃশংসতায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। যদিও তিলোত্তমার বিচার এখনও অধরা। মেডিকেল কলেজের মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর সকলের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ওই কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডল।
আরজিকর কান্ডে ৯০০ ঘন্টার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে CBI
খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কলেজেরই প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে। ওই ঘটনার পর তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধেই ওঠে একাধিক অভিযোগ। যার মধ্যে অন্যতম তথ্য প্রমাণ লোপাট, তদন্ত বিপথে চালিত করা, সরকারি কর্তব্যে গাফিলতির মতো বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)-এর হাতে তদন্তভার আসার পর থেকেই দু’জনের জামিনের বিরুদ্ধে সওয়াল করেছে সিবিআই। এমনকী,ওই দুজনকে জামিন দেওয়া হলেই তারা পালিয়ে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছিল সিবিআই (CBI)। এদিনও তাই সিবিআইয়ের (CBI) তরফে অভিযুক্তদের চার দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল। এদিন সেই আবেদনই মঞ্জুর করে দেয় আদালত।
অন্যদিকে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মন্ডলের আইনজীবী তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয় সিবিআই (CBI) তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে। তাই যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের দুজনের জামিনের আর্জি জানানো হয়েছিল আদালতে। যা এদিন আদালতের তরফে সরাসরি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। উল্টে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দু’জনকেই জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘দিদিকে বলো’ তে একবার ফোন করেই মিলল ‘ঘর’! আনন্দে আত্মহারা সকলে
এদিন আদালতে সন্দীপের আইনজীবী দাবি করেন, গ্রেপ্তারের ৮৬ দিন পরেও সিবিআই সন্দীপের বিরুদ্ধে কোনও জোরালো প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। অন্যদিকে, অভিজিতের আইনজীবীর দাবি, তদন্তকারীরা বারবার তথ্যপ্রমাণ নষ্টের অভিযোগ করেছেন। কিন্তু সিএফএসএল (সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি) রিপোর্ট আসার পরেও সিবিআই-এর তরফে নতুন কোনও তথ্য পেশ করা হয়নি।
তখনই এদিন পাল্টা জবাবে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, তদন্তের স্বার্থে তাঁরা প্রায় ৯০০ ঘণ্টার ভিডিয়ো পরীক্ষা করেদেখছেন। সিবিআইয়ের আইনজীবীর কথায়, ‘ইট ইস নট এ মেটার অফ জোকস।…অভিযুক্তদের আইনজীবীদের কথা অনুসারে স্টিরিও টাইপ তদন্ত করা হচ্ছে না।’ জানা যাচ্ছে, সিবিআই-এর তরফে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তারই সন্ধানে ডিজিটাল এভিডেন্স হিসেবে এই ফুটেজকেই তাঁরা হাতিয়ার করবেন।তার জন্য মোট ৮ দিনের আটটি ক্যামেরার ফুটেজ ফরেন্সিক পরীক্ষার পর খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা।