বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। সেই সূত্রে এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পৌঁছে যান তদন্তকারী অফিসাররা। তবে সিবিআই হেফাজতের পাশাপাশি এদিনও অনুব্রত দ্বারা তাদেরকে সহযোগিতা করা হয়নি বলেই জানিয়ে দিলো গোয়েন্দা সংস্থা।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর পূর্বে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। বিগত কয়েক মাস ধরে সিবিআইয়ের একের পর এক জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। বর্তমানে আসানসোল সংশোধনাগারে তৃণমূল নেতার পাশের সেলেই রয়েছে সে। এদিন অনুব্রত এবং সায়গল দুজনকেই আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলায় তদন্তের স্বার্থে সিবিআইয়ের চার আধিকারিক এদিন পৌঁছে যান আসানসোলে। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে অনুব্রত এবং সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের মধ্যে কেবল একজন অফিসারই ভিতরে পৌঁছে যান। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আলাদা আলাদা ভাবে তাদের এক ঘন্টার ওপর জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিক।
পরবর্তী সময়ে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে আসার সময় উক্ত অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। তবে অনুব্রত মণ্ডল তদন্তে সহযোগিতা করেছেন কিনা, সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর উত্তর ছিল, ‘না’। ফলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, সিবিআই হেফাজতের মতোই বর্তমানে আসানসোল সংশোধনাগারেও অসহযোগিতার পথই বেছে নিয়েছেন অনুব্রত।
এক্ষেত্রে অতীতেও সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন সিবিআইকে বিশেষ সহযোগিতার পথে হাঁটেননি অনুব্রত। আর বর্তমানেও তাঁর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুললো তদন্তকারী অফিসাররা।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তাঁর নামে যেমন একদিকে একাধিক বেনামি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, আবার তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামেও একাধিক কোম্পানির পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার জমির সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। সেই সকল বিষয়েই এদিন অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এদিন অনুব্রতর অসহযোগিতার পরবর্তী ধাপে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের পদক্ষেপ কি হয়, বর্তমানে সেটাই বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে।