বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় কয়েকদিন আগেই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলকে আবারও নোটিশ ধরিয়েছে সিবিআই। তাঁকে জেরা করতে চেয়ে সিবিআই দপ্তরে তলব করা হলেও শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে তা এড়িয়ে গেছেন অনুব্রত মন্ডল।
এরই মধ্যে এই মামলায় আইনী রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্ত হলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা। সিবিআইয়ের তদন্তে সম্পুর্ন সহযোগিতা করবেন কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া হয় এই মর্মে এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে আবেদন করেন তিনি। এই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জিও জানানো হয়েছে। সেই আবেদন মতই আগামীকাল বেলা সাড়ে ১০টায় হওয়ার কথা ছিল এও মামলার শুনানি।
তবে এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনুব্রত মন্ডল। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক চলাকালীন হঠাৎই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। সেখান থেকে তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন বিভাগে। খানিক চিকিৎসার পর অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেন চিকিৎসকরা। এসএসকেএমে ফুসফুস এবং হার্টের পরীক্ষা করা হয় অনুব্রতর। ফুসফুস বিশেষজ্ঞ সোমনাথ কুন্ডু জানিয়েছেন সেরকম কোনো সমস্যাই ধরা পড়েনি অনুব্রতর ফুসফুসে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে অনুব্রত মন্ডল অবশ্য বলেন, ব্লাডপ্রেশার বেশি হয়ে যাওয়াতেই অসুস্থ বোধ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন খুন হন বীরভূমের গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা গৌরব সরকার। সেই খুনের মামলায় অনুব্রতের নাম না থাকা স্বত্ত্বেও তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই। আর এর জেরেই কার্যত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় কেষ্টর এহেন হেনস্থার জবাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, ‘বেচারা অসুস্থ। পলিটিক্যালি তো পারবে না,তাই ফের সিবিআইকে দিয়ে নোটিশ পাঠাতে শুরু করেছে।’
গৌরব সরকার খুনের মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকেও। অভিযুক্তদের কাছ থেকেই অনুব্রত মন্ডলের নাম পাওয়া গেছে বলেই অবশ্য দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।