বাংলা হান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার জেরা (Interrogation) করা হতে পারে কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujaykrishna Bhadra)। আজ বুধবার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে দেখা যায় নিজাম প্যালেসে দুই আইনজীবীকে নিয়ে পৌঁছে গেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ঘনিষ্ঠ সুজয়। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কালীঘাটের কাকুর নাম প্রথম শোনা যায় গোপাল দলপতির মুখে। গোপালের দাবি ছিল, ‘কুন্তল ঘন ঘন এই কাকুর নাম করত। বলত, টাকা দাও, কালীঘাটের কাকুর কাছে পৌঁছে দিতে হবে। পরে তাপস মণ্ডলও কালীঘাটের কাকুর নাম বলেন।’
আজ নিজাম প্যালেসে ঢোকার মুখে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেন, ‘কেন আমাকে সিবিআই (CBI) ডেকেছে জানি না।’ মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে ৬ টা নাগাদ তাঁকে একটা কাগজ ধরানো হয়। সেটায় কী লেখা রয়েছে তিনি নাকি বুঝতে পারছেন না। তিনি আরও জানান, ‘আমার স্ত্রী অসুস্থ। তার পরেও এসেছি। নইলে বলবে অসহযোগিতা করছে।’ সকাল ১১ টার পর নিজাম প্যালেসের ১৫ তলায় সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার ভিজিটরস রুমে বসে রয়েছেন সুজয়বাবু। তাঁকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জেরা করা হবে।
যদিও তাঁর নামে সামনে আসার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই। যুক্ত থাকলে পরিবারের লোককে চাকরি দিতে পারতাম। আমি শুধুমাত্র একটি দফতরে চাকরি করি। কোনও আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমার বস অবধি কেউ পৌঁছতে পারবে না।” উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষকে তলব করেছে ইডি। তিনি কবে হাজির হন, সেটাই দেখার।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর পাশাপাশি এবার নিয়োগ কাণ্ডে তলব করা হয়েছে কুন্তল ঘোষের স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষকেও। সিবিআই কর্তারা তাঁকেও জেরা করবে বলে জানা যায়। কারণ, কুন্তল ও জয়শ্রীর নামে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।
কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি শুরু হওয়ায় সুজয়বাবু নিজেই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছিলেন। তিনি দাবি করেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। সেই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর ‘সাহেব’ বলে বার বার মন্তব্য করেছিলেন সুজয়বাবু।’