বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে শুরু করে দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। ইতিমধ্যেই কারও কারও বিরুদ্ধে গা ঢাকা দিয়ে সময় নেওয়ার অভিযোগও উঠছে। কেউ কেউ আবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার ক্ষেত্রেও গড়িমসি করছেন। সেই পরিস্থিতিতেই এবার সিবিআইয়ের তরফে তলব করা হল মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে। ভোট পরবর্তী হিংসায় নাম জড়ানো এবং ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার খুনের ঘটনার জেরে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীকে সিবিআই আধিকারিকদের মুখোমুখি হতে হবে বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২ রা মে অর্থাৎ যেদিন বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়, সেই দিনই ইলামবাজারের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে । ইলামবাজারের সার্বিক পরিস্থিতির স্বার্থে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তভার গ্রহণ করে। এরপরেই, সিবিআই আধিকারিকদের হাতে একাধিক স্থানীয় তৃণমূল নেতা ধরা পড়েন। এমনকী তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও এই মামলার ভিত্তিতেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল নিজাম প্যালেসে ৷ একই সঙ্গে বীরভূমের একাধিক বিধায়ক, জেলা সভাধিপতি, নেতাকে দুর্গাপুর ক্যাম্প অফিসে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা ।
যদিও, দিন কয়েক আগেই একাধিক নেতাকে সিবিআই আধিকারিকদের ডেকে পাঠানোর প্রসঙ্গে বোলপুরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত চন্দ্রনাথ সিনহা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে তীর্যক মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের পিছনে ইডি, সিবিআই লাগিয়ে দিচ্ছে। আমরা চোর, আর কেন্দ্রের নেতারা কোটি-কোটি টাকা চুরি করছে। তারা আমাদের মধ্যে ধর্মের বিবাদ লাগিয়ে দিচ্ছে। আমাদের সাবধানে থাকতে হবে।’ এবার সেই মামলাতেই নাম জড়াল বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি কুটির ও বস্ত্র শিল্পমন্ত্রীর। ২৮ জুন দুর্গাপুরের ক্যাম্প অফিসে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷