বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) এবার নাম জড়ালো অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) জ্যোতিষীরও। এবার তাঁকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই আধিকারিকদের। জ্যোতিষী এলেন, আর সঙ্গে করে নিয়ে এলেন নিজের সম্পত্তির খতিয়ানও।
অনুব্রত মণ্ডল নাকি শিবের উপাসক। এরই সঙ্গেই তিনি যে জ্যোতিষেও তাঁর অগাধ বিশ্বাস। তার হাতে প্রচুর পাথর এবং আংটি দেখা যেত প্রায় সবসময়ই। জ্যোতিষ মতে বিভিন্ন হোম যজ্ঞ পুজো করতেও বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। ফলে ওই জ্যোতিষীও কেষ্টর বেশ ঘনিষ্ঠ বলে জানা যাচ্ছে। এরপরই আধিকারিকদের সন্দেহ হয় তাঁর জ্যোতিষীর কাছেও তিনি অর্থ লুকিয়ে রাখেননি তো? সেই সন্দেহ দূর করতেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই অধিকারিরা।
বুধবার শান্তিনিকেতনের রতন কুঠির গেস্ট হাউসে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে এসে পৌঁছন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এরপর শুরু হয় একের পর এক জিজ্ঞেসবাদ। বোলপুরে এসেই অনুব্রত মণ্ডলের পাড়ার জ্যোতিষী সুজিত দে নোটিস ধরিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। নোটিস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই দুপুর ২টো নাগাদ হাজিরা দিতে আসেন নিচুপট্টি এলাকার জ্যোতিষী সুজিত। হাতে করে নিয়ে যান তাঁর সম্পত্তি ও আইটি ফাইলের সমস্ত কাগজপত্রও। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও তাঁর বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা।
সুজিত বাবু ক্যাম্পে ঢোকার সময় বলেছিলেন, ‘আমাকে লিখে পাঠানো হয়েছে, আমার তেমন কিছুই নেই। আমি শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলের কুষ্ঠি দেখতাম। সঙ্গেই আমার আইটি ফাইল-সহ সমস্ত সম্পত্তির কাগজ নিয়ে এসেছি।’ এর বেশি আর মুখ খোলেননি তিনি।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ সমস্ত ব্যক্তির সম্পত্তির খোঁজ করা হচ্ছে। অনুব্রত মণ্ডলের অন্যতম প্রিয় ব্যক্তি ওই জ্যোতিষী। ওই জ্যোতিষীর কথা শুনেই নাকি এতদিন তার এত উন্নতি হয়ে এসেছে। সেই জ্যোতিষীর সম্পত্তির এবার খতিয়ে দেখতে চলেছে সিবিআই।