দুর্নীতি ইস্যুতে বিপাকে শাসকদল! অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে নোটিশ সিবিআইয়ের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে প্রাথমিক টেট এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ দুর্নীতি, আবার অপরদিকে সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলা থেকে শুরু করে কয়লা ও গরু পাচার; বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে দুর্নীতির তালিকা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। সেই তালিকায় উঠে এসেছে শাসক দলের একাধিক নেতা মন্ত্রীদের নাম। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডলরা যেমন গ্রেফতার হয়েছেন, আবার সিবিআই ও ইডির তলবের মুখে পড়তে হয়েছে বহু নেতা কর্মীকে। আর এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতাকে তলব করে বসলো সিবিআই (CBI)। বর্তমানে এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলায়।

সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ এবং পাচার দুর্নীতি মামলা ছাড়াও সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত ইস্যুতে তোলপাড় বাংলা। সম্প্রতি, তদন্তকারী অফিসারদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল। এরপরেই তাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও তলব করে কেন্দ্র এজেন্সি। এক্ষেত্রে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে দুর্নীতির মূল উৎস খুঁজে বার করতে মরিয়া সিবিআই এবং ইডি। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতাকে তলব করে বসলো সিবিআই। ইতিমধ্যেই তাঁর বাড়িতে নোটিশ পাঠানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জল্পনা।

কে এই তৃণমূল নেতা? এদিন সিবিআইয়ের তরফ থেকে একটি নোটিশ পৌঁছে যায় পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম দুইয়ের ভাল্কি অঞ্চলের তৃণমূল নেতার বাড়ি। আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জের বাসিন্দা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জিতেন বাগদি। তবে সূত্রের খবর, নোটিশে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার প্রসঙ্গে কোন কথাই লেখা হয়নি। এক্ষেত্রে আগামী ২ রা সেপ্টেম্বর জিতেনকে নিজের বাড়িতেই থাকতে বলেছে তদন্তকারী অফিসাররা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রে বাড়িতে গিয়েই তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে তারা।

উল্লেখ্য, জিতেন বাগদি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এক্ষেত্রে বিগত বেশ কয়েক সময় ধরে আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রধানত ছিল অনুব্রত মণ্ডলের ওপর। গতকালই আবার অনুব্রতর হাত থেকে সরিয়ে নয়া দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে। তবে এর মাঝেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে নোটিশ যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে।

CBI 4

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হওয়ার পাশাপাশি ভাল্কি অঞ্চলের সভাপতি পদেও বর্তমানে নিযুক্ত রয়েছেন জিতেন বাগদি। গত ৬ ই আগস্ট এই নয়া দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় জিতেনের হাতে। সূত্রের খবর, সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের একটি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে চলেছে। তবে এর সঙ্গে অনুব্রত মামলার কোনরকম সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে কিনা, সে প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানা যায়নি।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর