বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহু টানাপোড়েনের পর ইডির হাতে এসেছে কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা। বুধবার সেই রিপোর্টই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি (Enforcement Directorates)। রিপোর্ট পেশ করে ইডি জানায়, তারা যা সন্দেহ করেছিল, তাই মিলে গিয়েছে। আর এরই মাঝে এবার জেলে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরা করতে চায় সিবিআই। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে কলকাতার বিচার ভবনে বিশেষ আদালতে আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকুকে জেরা করতে চেয়েই আদালতের অনুমতি চেয়েছে সিবিআই। তবে কেবল সুজয়ই নয়, পাশাপাশি ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীল এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জেরা চেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই নিয়ে আলিপুর আদালতকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছে নগর দায়রা আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩০ মে ১১ ঘণ্টা জেরার পর প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে ইডি। তারপর থেকে জেলে কম, হাসপাতালেই বেশি থেকেছেন কালীঘাটের কাকু। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। কাকুকে গ্রেফতার করার পর পরই তদন্তকারীরা দাবি করেন, বিষ্ণুপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে দিয়ে যাবতীয় দুর্নীতি চালাতেন সুজয়কৃষ্ণ। সূত্র ধরে রাহুল বেরার বাড়িতেও পৌঁছে যায় তদন্তকারী সংস্থা। তল্লাশি চালিয়ে রাহুলের ফোন বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
এরপর বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই ফোনের একটি কল রেকর্ডিং ইডির হাতে আসে বহুদিন আগে। ওই মোবাইলের কল রেকর্ডিংয়ে কাকুর কণ্ঠস্বর পাওয়া গিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিল ইডি। সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরার ফোনে নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি মুছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুজয়। সেই সিভক ভলান্টিয়ারকেও নিজামে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই (CBI)।
আরও পড়ুন: চরম বিপাকে মমতা! মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরার ফোনে নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি মুছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুজয়। সেই রাহুলকেও জানুয়ারি মাসে জেরা করে সিবিআই। বহুদিন থেকে কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছিল ইডি। দীর্ঘ টালবাহানার পর বুধবার সেই রিপোর্টই আদালতে জমা দেয় ইডি। কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর অবশেষে কলকাতা হাই কোর্টে তার ফরেন্সিক রিপোর্ট।