বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় টানা তিনদিন সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। শুক্রবার মাঝরাস্তা থেকে তাঁকে পাকড়াও করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এরপর শনিবার এবং রবিবার নিজেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন। এবার শোনা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে তাঁর ফোন রেকর্ড।
সন্দীপের (Sandip Ghosh) কল ডিটেলসে নজর সিবিআইয়ের!
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। সেই সঙ্গেই নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেও জেরা করা হবে বলে খবর। ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় সেমিনার হলের পাশের দেওয়াল কেন ভাঙা হল, সেটাও তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে চান বলে খবর।
আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) তদন্তভার পাওয়ার পর থেকেই জোরকদমে তদন্ত করছে সিবিআই। হাসপাতালে গিয়ে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার পাশাপাশি একাধিক ব্যক্তিকে জেরাও চলছে। শুক্রবার যেমন সন্দীপকে ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল বলে খবর। এরপর গতকাল তাঁকে ১০ ঘণ্টা জেরা করা হয়। আজ ফের সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ সিবিআই দফতরের হাজির হন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘কেচ্ছা’র শেষ নেই! ‘গুণধর’ সঞ্জয়ের আরও ‘কীর্তি’ প্রকাশ্যে … এবার বিরাট সিদ্ধান্ত CBI-এর!
এদিন সন্দীপ বাড়ি থেকে সিজিও কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কি সিবিআইয়ের (CBI) সঙ্গে ঠিকভাবে সহযোগিতা করছেন না? কেন বারবার তলব করা হচ্ছে? এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে সন্দীপ (Sandip Ghosh) মেজাজ হারান বলে খবর। গাড়িতে উঠে দরজা বন্ধ করে দেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
এদিকে আবার খবর, আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের একাধিক ‘কীর্তি’ জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। জানা যাচ্ছে, তাঁকে মানসিক রোগী বলে সন্দেহ করছে সিবিআই। তাই এবার তাঁর মন বুঝতে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।