বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল পবিত্র ইদে (Eid) ঘটনার ঘনঘটা পুরো উত্তরপ্রদেশ (UP) জুড়েই। কোথায় ট্রাফিক আইন ভঙ্গ (Traffic Rule Break) করে একটি অটো থেকে বেরোচ্ছে ২৭ জন মানুষ (27 men in a auto)। আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে সচেতনতা ও মানবতার এক অনন্য উদাহরণ। উত্তরপ্রদেশে পালন করা বকরি-ইদ সবসময়ই চর্চায় উঠে আসে সারা দেশের সামনে। এবারও সরকারি নির্দেশিকা মেনেই ধুমধাম করে পালন করা হল ইদ। এর মধ্যেই একটি পরিবার এক অন্য ধরনের ইদ পালন করে তাক লাগিয়ে দিলেন সবাইকে। ওই পরিবারের প্রশংসায় মুখর নেটিজেনরা।
ঘটনা উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর এলাকার। সকাল থেকেই চলছিলো ইদের তোড়জোড়। কুরবানির (Qurbani) জন্য সমস্ত ব্যবস্থাই করা হয়েছিল। এরই মধ্যে গালমণ্ডীর বাসিন্দা মেরাজ আহমেদ বকরি-ইদের দিন কুরবানি না দিয়ে তার বদলে ছগলের ছবি লাগানো কেককে কুরবানি দিলেন। এই অদ্ভুত ধরনের ইদ পালন এবং তার সঙ্গে কুরবানির এই নতুন পদ্ধতি রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে দেশজুড়ে।
জানা যাচ্ছে, মেরাজ আহমেদের আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি পশু সেবা সমিতির অধ্যক্ষ। এই রকম অদ্ভুত কুরবানী দেওয়ার কারণও বলেছেন তিনি। মেরাজ জানান, ‘কুরবানি অনেক রকম হতে পারে। এটা জরুরি নয় যে কোনও পশুরই কুরবানি দিতে হবে। তার জায়গায় কোনও গরীবের মেয়ের বিয়ে দিয়ে, কাউকে রক্তদান করে জীবন বাঁচিয়েও কুরবানিতে অংশ নেওয়া যায়। শুধু তাই নয় তিনি সাধারণ মানুষের কাছেও আবেদন করেন, ‘আল্লাহ মানুষকে এমন অধিকার দেয়নি যে সে কোনও পশুকে হত্যা করে। সমাজে এই রকম মানসিকতার আরও মানুষ দরকার। বছরের একবারই আসে এই বকরি-ইদ। আর এই দিনেই লক্ষ-লক্ষ টাকা কুরবানি দিয়ে নষ্ট করা হয়। কুরবানি দিয়ে টাকা নষ্ট না করে সেই টাকা কোনও গরীব মানুষকে সাহায্য করা উচিত।’