বাংলাহান্ট ডেস্ক: এতদিনের তোড়জোড় প্রচারের শেষদিন ছিল আজ। কলকাতা পুরসভার (kmc election) ভোটে শেষ হাসি হাসল কোন দল তা জানা যাবে দুদিন পরেই। সারা দিন ধরে তৃণমূলের পুরনো বিধায়ক, নব নির্বাচিত তারকা বিধায়করা এসে ভোট দিয়ে গেলেন পছন্দ মতো প্রার্থীকে। তালিকায় ছিলেন দেব, কাঞ্চন মল্লিক, রাজ চক্রবর্তীর মতো তারকারা।
তৃণমূলের হয়ে লোকসভা ভোটে লড়ে পরপর দুবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন দেব। কিন্তু বরাবরই রাজনৈতিক সৌজন্য এবং স্পষ্ট কথা বলার জন্য খ্যাতি রয়েছে তাঁর। ভোট দিতে এসেও নিজের দলের সুখ্যাতি শোনা গেল না তাঁর কণ্ঠে। বরং বললেন, পার্টি দেখে নয়। যে কাজ করে তাকেই ভোট দিন।
রবিবার সকালেই ভোটদান পর্ব সেরে ফেলেছিলেন বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। লেক মার্কেটের চারুচন্দ্র কলেজে ভোট দেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। মুকুন্দপুরে একটি বুথে ভোট দেন তিনিও।
নাকতলা হাইস্কুলে ভোট দিতে পৌঁছেছিলেন নব নির্বাচিত বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকও। ভোটদান করেছেন বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমারের মেয়ে দেবলীনা কুমার বরাবরের মতোই ভোট দেন বাবা মায়ের সঙ্গে। গত রাজনীতি থেকে দূরেই থাকেন টোটা রায়চৌধুরী। কিন্তু ২৫ বছর ধরে একবারও ভোট মিস করেননি তিনি। এবারেও ভোট দিলেন পর্দার রোহিত সেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেব জানিয়েছেন, ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে হয়তো আর প্রার্থী নাও হতে পারেন তিনি। তবে কি দল বদলাতে চলেছেন দেব? তৃণমূল ছেড়ে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন তিনি?
সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে দেব জানিয়েছেন, অন্য কোনো দলে তিনি যোগ দেবেন না। তবে তাঁকে যদি বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে ভাল হবে। দেবের মতে, ১০ বছর অনেকটা সময়। তাই সম্ভবত আগামী ভোটে তাঁকে প্রার্থী হিসাবে নাও দেখা যেতে পারে।
২০১৪ তে নিজের অভিনয় কেরিয়ারের শীর্ষে থাকার সময় রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন দেব। এই ১০ বছরে বদলেছে অনেকটাই। দেবের কথায়, এখন রাজনীতিতে শুধু রাজটাই পড়ে আছে। নীতি আর নেই। শুধু মাত্র ‘মমতাদি’কে ভালবেসেই এত বছর ধরে রাজনীতিতে রয়েছেন তিনি। ওই মানুষটাকে না বলতে পারেন না দেব।