বাংলায় পরিকাঠামো উন্নয়নে ৯৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের, দিল্লির সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্যও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ দুবছরের অতিমারীর ধাক্কায় বিধ্বস্ত দেশ। অতিমারীর করাল রূপ ভারতের অর্থনীতিকে ভয়াবহ খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে টেনে নিয়ে গেলেও চিনা আগ্রাসন রুখতে বিশেষ ভাবে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের ‘চিকেন নেক’ করিডর বলে পরিচিত অংশটির পরিকাঠামো মজবুত করতে প্রায় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। শুধু তা-ই নয়, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ এক লাফে প্রায় ছ’গুণ হওয়ায় বাংলার উন্নয়নে জোর কদমে বন্দোবস্ত শুরু করেছে নবান্ন।

আর্থিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চালু থাকার জন্য রাজ্যের উন্নয়ন পরিকাঠামো খাতে মোটা টাকা জোগানো কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাজ্যের পক্ষে। এই অবস্থায় বাংলার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা রাজ্যকে অনেকটা স্বস্তি দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, মূলত ‘চিনের চাপেই’ এই পদক্ষেপ নিতে হল কেন্দ্রকে।

শিলিগুড়ির ‘চিকেন নেক’ করিডর উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত কার্যকর করতে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গডকড়ীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খাতে প্রায় ৯৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক। তা দিয়ে কাজ করবে রাজ্যের পূর্ত দফতর। উত্তরবঙ্গের ওই রাস্তাটি ইসলামপুর থেকে শিলিগুড়ি হয়ে কোচবিহার পর্যন্ত গিয়েছে।

সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রক সূত্রের খবর, ২০২০-২১ আর্থিক বছরের তহবিল থেকে ২৩৭ কোটি টাকা এ রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল। সেখানে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা এক ধাক্কায় তা বেড়ে হয়েছে ১,৪১১ কোটি টাকা। শুধু ‘চিকেন নেক’ করিডরেই ৯৯৫ কোটি। এর সঙ্গে চলছে ২০২২-২৩ সালের পরিকাঠামো-পরিকল্পনা তৈরির কাজও। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৬,৫০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে রয়েছে নন্দকুমার-দিঘা পথে রামনগর বাইপাস, নন্দকুমারের কিছুটা দূরে নরঘাট সেতু, ফরাক্কা থেকে বিহার সীমানা পর্যন্ত জাতীয় সড়ক ৮০-র সম্প্রসারণ, জাতীয় সড়ক ১৩১এ-র মালদহ থেকে বিহার সীমানা পর্যন্ত সম্প্রসারণ, জাতীয় সড়ক ৬০-তে রানিগঞ্জ ও দুবরাজপুর বাইপাস প্রকল্পের পরিকল্পনা। বীরভূমের নলহাটি-মোড়গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ১০০ কোটির সড়ক প্রকল্পও উল্লেখযোগ্য।

ওয়াকিবহাল মহলের কথায়, এখন রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কোনও অর্থ ছাড়তে নারাজ। যেখান থেকে কেন্দ্রের যে টাকা পাওয়া সম্ভব, তা নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে দফতরগুলিকে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর