বাংলা হান্ট ডেস্ক : কয়লা পাচার কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ করল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এবার গ্রেফতার কেন্দ্রীয় বাহিনীর পদাধিকারী-সহ ২ ব্যক্তি। বেআইনিভাবে কয়লা তুলে চোরাপথে পাচারের অভিযোগে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হলেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ-এর (CISF) ইন্সপেক্টর আনন্দকুমার সিং ও ইসিএলের প্রাক্তন কর্তা সুনীলকুমার ঝা। এর আগে কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন ইসিএলের (ECL) একাধিক আধিকারিক। এবার সরাসরি খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকও সিবিআই-র জালে।
সিবিআইয় সূত্রে খবর, কয়লা পাচারের (Coal Scam) মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা ও তাঁর লোকেদের মদত দিতেন ইসিএলের আধিকারিকরা। তাঁরাই বিপুল টাকার বিনিময়ে অবৈধ খনি থেকে কয়লা তুলে বাইরে পাচারের কাজে সাহায্য করতেন। সেই কয়লা ভরতি মালবাহী গাড়ি খুব সহজেই চলে যেত রাজ্যের বাইরে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে সিবিআই জানতে পারে যে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শীতলপুর ইউনিটের সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর (Inspector) আনন্দকুমার সিং কয়লা পাচারের মদত জোগাতেন। তাঁর সঙ্গে সরাসরি লালার যোগাযোগ ছিল বলেই দাবি সিবিআই-র।
এছাড়াও লালার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বেআইনিভাবে কয়লা তোলার ক্ষেত্রে মদত জোগাতেন ইসিএলের প্রাক্তন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুনীলকুমার ঝা। মূলত ইসিএলের লিজ নেওয়া কানুস্তোরিয়া ও কাজোরায় এই দুর্নীতি চলত। গত বছরের ১৯ জুলাই আসানসোল আদালতে ৪১ জন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট (Chargesheet) দাখিল করে। ইসিএল ছাড়াও সিআইএসএফ, রেল ও অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে অভিযোগ দায়ের করে সিবিআই।
খনি থেকে পাচার করা কয়লা ছাড়াও রেলের সাইডিংয়ে জমা করা কয়লাও চুরি করে বাইরে পাচার করত এই চক্রটি। এই কীর্তির জন্য আধিকারিকদের বিপুল টাকা ঘুষ দেওয়া হত। ইতিমধ্যেই কয়লা কাণ্ডে এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই তল্লাশি করেছে। তদন্ত করেছে ইডিও। ধৃতদের জেরা করে এই কয়লা পাচারের সঙ্গে আরও যারা যুক্ত, তাদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।