বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে সিবিআইয়ের (Central Bureau of Investigation) বিরুদ্ধে। তবে এবার আর এই অভিযোগ নয়, বরং ঘুষ কাণ্ডে জড়াল এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নাম। দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হলেন তাদেরই একজন আধিকারিক।
জানা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের একটি নার্সিং কলেজে (Madhya Pradesh Nursing College) বড় রকমের দুর্নীতি হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছিল সিবিআইয়ের একটি বিশেষ টিমের হাতে। অভিযোগ, বিপুল অর্থের পরিবর্তে (Bribe) ওই নার্সিং কলেজের পক্ষে রিপোর্ট জমা দেয় তদন্তকারী দল। কেন্দ্রীয় এজেন্সির টিমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।
এদিকে এমন গুরুতর অভিযোগ কানে যেতেই তদন্ত শুরু করে সিবিআইয়ের ভিজিল্যান্স টিম। এরপরেই কোটি কোটি টাকা সহ গ্রেফতার করা হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সিরই এক আধিকারিককে। রাহুল রাজ নামের ওই আধিকারিকের পাশাপাশি আরও ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সেই সঙ্গেই আরও ৩ জন সিবিআই আধিকারিক সহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, শুরু হয়েছে তদন্ত।
আরও পড়ুনঃ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব ২ কোটি টাকা, মামলা দায়ের হতেই বিরাট নির্দেশ হাই কোর্টের
সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে একথা জানানো হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, গত শনিবার নার্সিং কলেজের সঙ্গে যুক্ত অনিল রাজ এবং তাঁর সহধর্মিণীর থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন রাহুল। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সেই সঙ্গেই এই মামলার তদন্তে নেমে মধ্যপ্রদেশের ৩১টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকদের বিশেষ দল। সেই তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয় ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, ৪টি সোনার বিস্কুট, ১৫০-টিরও বেশি জরুরি কাগজপত্র এবং ৩৬টি ডিজিটাল ডিভাইস।
এদিকে দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই আধিকারিকের এভাবে ঘুষ নেওয়ার ঘটনা সামনে আসার পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে। তবে তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলায় তাদের তরফ থেকে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। সংস্থার মূল্যবোধ যদি কোনও আধিকারিক না মেনে চলেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।