বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আবহে রোজভ্যালি মামলায় চার্জশিট জমা দিল সিবিআই (Central Bureau of Investigation)। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির রায় নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি, তখনই এই মামলার চার্জশিট দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তাতে অভিযুক্তদের তালিকায় পয়লা নম্বরে রয়েছে সাধন পাণ্ডের কন্যা শ্রেয়ার (Shreya Pande) নাম।
ওড়িশার ভুবনেশ্বর আদালতে রোজভ্যালি মামলার (Rose Valley Case) চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। জানা যাচ্ছে, সেখানে প্রধান অভিযুক্তদের তালিকায় এক্কেবারে শীর্ষে নাম রয়েছে শ্রেয়া পাণ্ডের। সিবিআই (CBI) চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন, রোজভ্যালি থেকে শ্রেয়ার দু’টি সংস্থায় সরাসরি টাকা ঢুকেছে। এখানেই শেষ নয়, সেই টাকায় সাধন-কন্যা এবং তাঁর টিম চিন ভ্রমণ করেছিলেন! তাঁদের সফরের অনেকটা খরচ রোজভ্যালি বহন করেছিল বলে দাবি করা হয়েছে চার্জশিটে।
মন্ত্রীর মেয়ে হওয়ায় শ্রেয়া ‘প্রভাব প্রতিপত্তি’ খাটিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে বলে খবর। একটা সময় রোজভ্যালির নানান প্রোগ্রামে দেখা যেত শ্রেয়াকে। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের কন্যার সংস্থা রোজভ্যালির তরফ থেকে কাজের বরাতও পেয়েছিল। অভিযোগ, যে টাকা প্রাপ্য, তার চেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছিল তাঁর কোম্পানিকে। সেই ‘অতিরিক্ত’ টাকা শ্রেয়া ফেরাননি বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ আদালতের ‘সম্মানহানি’! মমতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ বিকাশরঞ্জন
সিবিআইয়ের দাবি, রোজভ্যালি একটি চিটফান্ড সংস্থা সেই বিষয়ে ওয়াকিবহাল হওয়া সত্ত্বেও তাদের ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করেছিলেন সাধন-কন্যা। চার্জশিটে সিবিআইয়ের অভিযোগ, ২ কোটি ২২ হাজারের বেশি টাকা শ্রেয়ার দুই কোম্পানিতে গিয়েছে। তবে ভুবনেশ্বর আদালতে সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটে শ্রেয়ার নাম থাকলেও, ইডির চার্জশিটে তাঁর নাম নেই।
এই বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্রকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, তদন্ত এখনও চলছে। অপরদিকে শ্রেয়ার সঙ্গে জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে আমায় কিছু জানানো হয়নি। এখনও অবধি আমার কাছে কোনও নোটিশ আসেনি’।
এই বিষয়ে বরানগরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় বলেন, ’এটা বহু পুরনো চার্জশিট। সবাই জানে। রোজভ্যালি মামলায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় পয়লা নম্বর। অভিযুক্ত জামিনে আছেন। আর শ্রেয়া বেলে নেই’। অন্যদিকে রিন্মুলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘চার্জশিটে অনেকের নাম আছে। তাপস রায়ের বাড়িতে যেদিন ইডি যায়, কেন ওনার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল? শুভেন্দু সেদিন তাপস রায়কে বরানগর এলাকার চাকরি চোর বলেছিলেন। এখন অবস্থান বদলে গিয়েছে। গোটা দেশে এই রাজনীতি চলছে। বিজেপি না হলেই তাঁকে চোর বলে দাগিয়ে দাও। নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার’।