বাংলা হান্ট ডেস্ক : অনুব্রত মণ্ডলঘনিষ্ঠ (Anubrata Mandal) বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির সিবিআই (CBI)। বুধবার সকালে প্রায় ১ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিন তদন্তকারী। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বোলপুরে বিদ্যুৎ গায়েনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা। বিদ্যুৎ লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত। সেই শারীরিক অসুস্থতার জন্যই বাড়ি এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আধিকারিকরা।
গরু পাচার মামলায় মঙ্গলবার থেকেই চাপ বাড়িয়েছে সিবিআই। বোলপুরের গেস্ট হাউস রতন কুঠিতে ফের অস্থায়ী ক্যাম্প বানিয়েছে। বুধবার অনুব্রত ও সুকন্যা ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিকে সেখানে তলব করা হয়েছে বলে খবর। সিবিআই সূত্রের দাবি, শক্তিগড়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যাঁরা দেখা করেছিলেন, এবার সিবিআইয়ের র্যাডারে তাঁরাই।
দীর্ঘদিন বোলপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন বিদ্যুৎবরণ। ট্রাকের খালাসি ছিলেন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরই স্থায়ী চাকরি পান তিনি। সিবিআই অনুব্রতকে গ্রেপ্তারির পর যে কোম্পানি গুলির হদিশ মিলেছে, তাতে প্রথম ডিরেক্টরের নাম ছিল সুকন্যা। দ্বিতীয় নাম বিদ্যুৎবরণ গায়েন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর দিকে নজর ছিল সিবিআই।
তদন্তকারীদের প্রশ্ন, সামান্য পুরসভার চাকরি করে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন বিদ্যুৎ? কীভাবে এত কোম্পানির ডিরেক্টর পদ পেলেন? যদিও গোটাটাই এখনও ধোঁয়াশা। প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি সুকন্যার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বিদ্যুৎবরণ গায়েনের। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি রয়েছে তাঁদের। সূত্রের খবর, অনুব্রতকে বাবা বলেও নাকি ডাকতেন বিদ্যুৎ।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, বিদ্যুৎ বরণ গায়েনকে বেশ কয়েকবার নোটিশ ইস্যু করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বারবার সেই হাজিরা এড়িয়ে যান বিদ্যুৎ বরণ গায়েন। তাই এবার কোনও সুযোগ না দিয়ে কমর বেঁধে নামল সিবিআই।
গোরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা। তবে তাঁদের গ্রেফতার হওয়ার পরেও থেমে নেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিদ্যুৎ বরণের বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে আগেও। এই বিদ্যুৎ বরণ গায়েন বোলপুর পুরসভায় একজন অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ২০১১ সালের পর সেখানে তিনি স্থায়ী চাকরি পান।