বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিল্লীর (Delhi) উপরাজ্যপাল বিকে সাক্সেনার আদেশে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা দিল্লীর উপমুখ্যমন্ত্রীর মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) দপ্তরে তদন্ত শুরু করল। এর পিছনের মূল কারণ অবশ্য দিল্লীর সরকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে বচসা। অফিসের অন্দরে তদন্তকারী সংস্থার পৌঁছে যাওয়ার ঘটনাটি অবশ্য মনীশ নিজেই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) পোস্ট করে জানান। সিবিআই সূত্রে জানানো হয় যে, তাঁরা এই তল্লাশির মারফত বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট উদ্ধার করেছেন। টানা ১২ ঘন্টা ধরে চলে এই তল্লাশি।
রাজধানীর রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যেতেই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে হঠাৎ কেন এই তল্লাশি? উপরাজ্যপাল বিকে সাক্সেনাকে যখন এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তিনি জানান যে, আম আদমি পার্টির যে মাদক বস্তু সম্পর্কিত একটি সরকারী বিভাগ (Excise policy) রয়েছে তা যাচাই করার জন্য তিনি এমন নির্দেশ দিয়েছেন। তবে শুধু সিবিআই না, তদন্তে নামতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট বা ইডি।
উপরাজ্যপাল আরও অভিযোগ আনেন যে, এই মাদক বস্তু সম্পর্কিত নীতির ভিত্তিতে আম আদমি পার্টির নেতারা মদ ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত সুবিধা দিচ্ছেন। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাজ্যের অর্থ। সিবিআই-এর এই তদন্তের তালিকায় প্রথমেই নাম ছিল মণীশ এবং রাজ্যের বেশ কিছু বড় মদ ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট কনসালট্যান্টের। ইতিমধ্যেই এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে ইডি।
আজই উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশের অফিসে যখন সিবিআই তদন্তে নামে তিনি সেই মুহূর্তেই সেই খবর তাঁর টুইটারে পোস্ট করে লেখেন যে, “আজ আবার সিবিআই আমার অফিসে গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। তারা এর আগে আমার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল। অভিযান চালিয়েছে আমার অফিসেও। এমনকী আমার গ্রামে গিয়েও তদন্ত চালিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে কিছুই পাওয়া যায়নি এবং কিছু পাওয়া যাবে না। কারণ আমি কিছু করিনি।”
आज फिर CBI मेरे दफ़्तर पहुँची है. उनका स्वागत है.
इन्होंने मेरे घर पर रेड कराई, दफ़्तर में छापा मारा, लॉकर तलशे, मेरे गाँव तक में छानबीन करा ली.मेरे ख़िलाफ़ न कुछ मिला हैं न मिलेगा क्योंकि मैंने कुछ ग़लत किया ही नहीं है. ईमानदारी से दिल्ली के बच्चों की शिक्षा के लिए काम किया है.— Manish Sisodia (@msisodia) January 14, 2023
এরপর এই বিষয়ে যখন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়, কেজরিওয়ালের সাফ জবাব, যেহেতু দিল্লী এখন দিল্লীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মডেল নিয়ে সারা পৃথিবীতে আলোচনা করা হয়, তাই উপমুখমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই গেলে বা তদন্ত চালালে সেটা কোনো বড় বিষয় নয়। এবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে আপ।