বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) সব জায়গাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। সর্বোচ্চ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশই বহাল রাখা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে এই রায় ঘোষণার পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে সরাসরি ফোন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজীব সিনহাকে তিনি বলেন, ‘আর তো কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। এবার তো কেন্দ্রীয় বাহিনী নামান!’
ঘটনা হল, চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো যায় না। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রিক্যুইজিশন পাঠাতে হবে। কত বাহিনী লাগবে তাও পর্যালোচনা করে ঠিক করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হল, সুপ্রিম কোর্টের এদিন রায়ের পুনর্বিবেচনা দাবি করে রাজ্য সরকার উচ্চতর বেঞ্চে যে যাবে না, সেটাও এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
বিশেষ সূত্রে খবর, এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মাত্র ২ মিনিট কথা হয়েছে শুভেন্দুর। বিরোধী দলনেতাকে তিনি বলেন, কমিশন এখন রায়ের কপি হাতে পায়নি। আদালতের নির্দেশ পেলে তা বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সুপ্রিম কোর্টে মামলার পক্ষ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকার সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানানোর আগে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। এদিন সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক জয় দেখছেন।
তৃণমূল নেতাদের সাফাই, গত পঞ্চায়েত ভোটের তুলনায় এবার রাজ্যে হিংসার ঘটনা অনেক কম। ভাঙড়, চোপড়া ও মুর্শিদাবাদের হাতে গোণা দু-একটি জায়গা ছাড়া বড় কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। এর চেয়ে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে। কিন্তু তার পরেও বিজেপি ও বামেরা একটা ধারণা তৈরির চেষ্টা করছে যে বিপুল ভাবে হিংসার ঘটনা ঘটছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে মামলা করা বা এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে শুভেন্দুর ফোন—ইত্যাদির মধ্যে সেই রাজনীতিই নিহিত রয়েছে।