ভোট পরবর্তী হিংসার জের, এবার যা সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন! বাংলায় তুলকালাম

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভোটের আবহে রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে শয়ে শয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। আসলে পূর্ব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল ভোট পরবর্তী হিংসা চালানোর।

যার ফলে রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় সে বছর বিরোধী দলের ১০ জনের বেশি কর্মী সমর্থকদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। সেই সাথে আহত হয়েছিলেন আরও অনেকে। তাই এ বছর বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট থেকেই লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে মোট ৩২০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী।

   

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং এসএসবি মিলিয়ে মোট ৩২০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যের বাছাই করা কিছু এলাকায় মোতায়ন রাখা হবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করা হলেই শুরু হতে পারে সংঘর্ষ।

আরও পড়ুন: বসিরহাটে তৃণমূলে তৃণমূলে লড়াই! খেলা ঘুরিয়ে দিল দলের লোকেরাই, চরম চাপে জোড়াফুল

তাই শুধু ভোট চলাকালীন সময়েই নয় আগামী ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর ভোট পরবর্তী আগামী  ১৫ দিন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন রাখার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এপ্রসঙ্গে সিআইএসএফ-এর এক কর্তা বলেছেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী ১৫ দিনের বেশিও রাখা হতে পারে বাহিনী। তা-ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

Force

প্রসঙ্গত শুধুই ভোট পরবর্তী হিংসা নয়,বিগত বছরে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। এপ্রসঙ্গে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ইডি এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এনআইএ-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর