বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি প্রকল্পে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ নতুন নয়। ইতিপূর্বে এই অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিকবার সুর চড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) রাজ্য সরকার। কিন্তু বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও বরাদ্দের টাকা না মেলায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রকল্পে নিজস্ব কোষাগার থেকে টাকা দেওয়া শুরু করেছন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে এবার রাজ্যের চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘জল জীবন মিশন’ (Jal Jeevan Mission)।
কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বৃদ্ধির আশায় রাজ্য (West Bengal)
দিনের পর দিন এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের হার কমতে শুরু করেছে। যার ফলে বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে রাজ্যের (West Bengal) উপর। তবে এই বিষয়ে এবার আশা জাগাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি গত অর্থবর্ষের তুলনায় নতুন অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় বাজেটে জল জীবন মিশনের হাত ধরে বিপুল বরাদ্দ আসতে চলেছে রাজ্যে।
আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে জল জীবন মিশন প্রকল্পে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। আসলে ২০২৪ সালে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গ-সহ (West Bengal) মোট ২৩টি রাজ্য এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি। জানা যাচ্ছে,প্রায় ১.৭৫ কোটি পরিবারে এই জলের কানেকশন পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও, এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫৫% ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়েছে।
রাজ্য সরকারের এক কর্তা জানিয়েছেন কেন্দ্র যে সমস্ত শর্ত দিয়েছিল,সেগুলি সঠিকভাই পালিত হচ্ছে। এমনকি ব্র্যান্ডিং বা প্রচার নিয়েও কেন্দ্রীয় বিধি নিখুঁতভাবে মেনে চলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আশা করা যেতে পারে এবার আর এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আটকাবে না।
আরও পড়ুন: মোথাবাড়ি হিংসায় ধৃতদের মধ্যে সবাই হিন্দু? যা বললেন BJP নেতা তরুণজ্যোতি… তুঙ্গে শোরগোল
জানা যাচ্ছে এখনও বাংলার অনেক বাড়িতে এই পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া যায়নি। তাই এবার এই প্রকল্প শেষ করার সময়সীমা ২০২৮ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নতুন অর্থবর্ষ থেকে কেন্দ্র যে বরাদ্দ করছে সেই টাকা ১ এপ্রিলের পর থেকে শুরু হবে বলেই আশাবাদী রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত জল জীবন মিশন নিয়ে কেন্দ্রের বরাদ্দ কমতে থাকায় এই বিষয়ে রাজ্য বিধানসভার গত অধিবেশনেও সরব হয়েছিলেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।