গ্যাস সিলিন্ডারের জন্য ভূর্তুকি পাচ্ছেন তো? এখনই জানুন কেন্দ্রের এই নতুন নির্দেশ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কাঠের উনুনের ধোঁয়া খেয়ে রান্না করার দিন শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এখন আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরেই ব্যবহার করা হচ্ছে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার (Gas-Cylinder)। কেউ ব্যবহার করছেন ইন্ডেন কিংবা এইচপি আবার কেউ ব্যবহার করছেন ভারত গ্যাস কিংবা  হিন্দুস্তান গ্যাস এজেন্সির গ্যাস সিলিন্ডার (Gas-Cylinder)। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের (Gas-Cylinder) জন্য এখন সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হচ্ছে ভর্তুকিও।

গ্যাস সিলিন্ডার (Gas-Cylinder) নিয়ে সরকারের বিরাট নির্দেশ

তবে অনেকেই নাকি তাদের প্রাপ্য ভর্তুকি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ আসে হামেশাই। তাই এবার গ্রাহকদের জন্য গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার। আর এই নির্দেশ না মানলেই হবে বড়সড় বিপদ। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, আমাদের দেশে মোট দুই ধরনের গ্যাস ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে একটি মূলত ঘরোয়া রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে অন্যটি ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে অর্থাৎ বিভিন্ন হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁয় রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়।

   

তবে সাধারণ মানুষের ব্যবহারযোগ্য রান্নার গ্যাসের তুলনায় ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অনেকটা বেশি। যদিও ঘরোয়া রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের ওজন যেখানে মাত্র ১৪.২ কেজি হয় সেখানে বাণিজ্যিক গ্যাসের ওজন হয়ে থাকে ১ ৯ কেজি। তাই এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ হোটেল রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা নিয়ম না মেনে ইচ্ছা মতো ব্যবহার করছেন সস্তা রান্নার গ্যাস।

আরও পড়ুন: ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে যাবে সিম কার্ড, এবার নতুন নিয়ম আনছে TRAI

এরফলে মার খাচ্ছে বাণিজ্যিক গ্যাসের ব্যবসা। তাই সাধারণ মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের দাম কমানো হলেও এইভাবে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের পরিবর্তে ঘরোয়া রান্নার সিলিন্ডার ব্যবহার করায় আদতে হিতে বিপরীত হচ্ছে। তাই এবার এক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে কেন্দ্র। মূলত ৮ মাস ধরেই চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া। মূলত ভুয়ো গ্রাহকদের হাতেনাতে ধরতেই, এই কাজ যারা করছেন না তাদের ডিস্ট্রিবিউটার রাই ডেকে এনে আধারের সঙ্গে গ্যাস কানেকশন লিংক করাচ্ছেন। 

Gas Cyinder

কিন্তু যারা ভূর্তুকি পাচ্ছেন না তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য না দিলেও চলবে। এক্ষেত্রে তাদের ভুর্তুকি সংক্রান্ত গিভ আপ ফর্ম ফিলাপ করে নিতে হবে। সম্প্রতি এই রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়ে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কেউ যদি আবার ব্যবসার কাজে বাণিজ্যিক গ্যাসের পরিবর্তে ঘরোয়া গ্যাস ব্যবহার করেন তাহলে ডিস্ট্রিবিউটাররাই তার ফল ভুগবেন।  তাই ঝামেলা এড়াতে এবার তাড়াতাড়ি ডিস্ট্রিবিউটারদের কাছে গিয়ে এই বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে আসতে হবে। তবে কেউ চাইলেই সময় বাঁচানোর জন্য নিজে থেকেই ঘরে বসেই অনলাইনেই  বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করে নিতে পারেন।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর