বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউন পরিস্থিতিতে ভারতের অর্থনীতির ওপর ক্রমশ চাপ বাড়ছে। পাশাপাশি পকেটে টান পড়ছে সাধারণ মানুষেরও। তাই এবার মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তকে স্বস্তি দিতে মোদি সরকার এলপিজি সিলিন্ডারে ভর্তুকি দ্বিগুণ করেছে। আগে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি বাবদ ১৫৩.৮৬ টাকা পেত গ্রাহক, কিন্তু বর্তমানে ওই টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৯১ টাকা ৪৮ পয়সা।পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় সিলিন্ডার প্রতি ভর্তুকি ১৭৪ টাকা ৮৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩১২ টাকা ৪৮ পয়সা হয়েছে।
এর আগে, লকডাউনের পরিস্থিতিতে দেশের গরীব মানুষের জন্য সরকার ১.7 লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষনা করেছে। যার একটি অংশ হ’ল উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্যে এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহ। এই প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত মহিলারাই কেবল এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। যাদের মোবাইল নম্বর গ্যাস সংস্থায় নিবন্ধিত রয়েছে, কেবল তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই সরকার সিলিন্ডার সরবরাহও শুরু করেছে। উজ্জ্বলা প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় ১৪.২ কেজি মাত্র তিনটি এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়া হবে। প্রতি মাসে বিনামূল্যে একটি সিলিন্ডার পাবেন গ্রাহকেরা। যাদের ৫ কেজি সিলিন্ডার রয়েছে তাদের ৩ মাসের মধ্যে মোট ৮ টি সিলিন্ডার দেওয়া হবে। অর্থাত্, এক মাসে সর্বাধিক ৩ সিলিন্ডার বিনামূল্যে থাকবে।
পাশাপাশি, ২০১৪ সালের পর ২০২০ অর্থবছরের শুরুতে সর্বনিম্ন হল প্রাকৃতিক গ্যাস। দেশে উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাসের বিক্রয় মূল্য ২৬ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার জেরে এক ধাক্কায় অনেক খানি কমে যাবে গ্যাসের দাম। তবে এর জেরে রিলায়েন্স, ওএনজিসির মতো গ্যাস উত্পাদনকারী সংস্থাগুলির আয় ব্যাপক পরিমাণে হ্রাস করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের পরিকল্পনা ও বিশ্লেষণ সেল (পিপিএসি) জানিয়েছে যে ভারতে বর্তমান গ্যাস উৎপাদনের বড় অংশের ব্যয় এখন এপ্রিল থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিটু) প্রতি ২.৯৯ ডলার হবে। এতদিন পর্যন্ত এই দাম ছিল মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট প্রতি $ 3.23।