NRC এর দিকেই আরো এক ধাপ এগোলো কেন্দ্র, নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র আনছে ভারত সরকার !

ভারত জুড়ে এখন NRC, CAA এনপিআর, সিএবি নিয়ে বেশ উত্তপ্ত। তার মধ্যে আবার মোদী সরকার নিজেই একবার বলছে NRC হবে আবার একবার বলছে এনআরসি হবেনা। আর তার প্রভাবে দেশের সাধারন মানুষ তাদের কালঘাম ছুটতে বসেছে। আর এর মধ্যে কিছুদিন আগেই সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লিখিত মাধ্যমে জানিয়েছেন যে এখনো অব্দি এনআরসি কে কাজে লাগাবে বলে ভাবেনি কেন্দ্রীয় সরকার।

NRC এর দিকে এগলো মোদী সরকার

এই আইনের কথা সবে বলা হয়েছে তবে বাস্তবে কবে থেকে তা বলবত হবে সেই নিয়ে এখনো অব্দি কিছুই সঠিক করে বলা হয়নি।এইদিন লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এই নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন। তারপরে আবার কেন্দ্র আনতে চলেছে নতুন নিয়ম, ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড (এনআইসি)  । ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড (এনআইসি) অবশ্য নতুন কোনও বিষয় নয়।

AA

 

 

 

২০০৩ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ১৪এ ধারাতে এই ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কথা বলা হয়েছিল। জাতীয় পরিচয়পত্র বিজেপির দীর্ঘদিনের অ্যাজেন্ডা । সরকার যে প্রত্যেক নাগরিককে আবশ্যিকভাবে নথিভুক্ত করতে পারে এবং তাদের জন্য এনআইসি জারি করতে পারে, সে কথাও উল্লেখ করা রয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট যে, এনআইসি এবং এনআরসি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই এদিন সরকারের তরফে এনআইসি-র রুল লোকসভায় পেশ করে এনআরসি-র দিকেই কেন্দ্র এক পা এগিয়ে গেল বলেই মত বিশেষজ্ঞমহলের।

২০০৩ সালে তত্‍কালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেন। সেই সময়েই এনপিআর, এমপিএনআইসি-র তথ্য যে এনআরসি-র কাজে ব্যবহার করা যাবে, তার ব্যবস্থাও করেছিলেন। হিসেব মতন ২০০১ সালে এই আইন বলবত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সব মিলিয়ে এখন তা আবার সক্রিয় হতে চলেছে। কিন্তু ২০১৯ সালে শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি আবার এই এনআইসি তৈরির প্রস্তাব দেন । এখন দেখার কবে থেকে তা আইনত হয়।


সম্পর্কিত খবর