বাংলাহান্ট ডেস্ক: চিনে ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে। সে দেশে এখনও চলছে লকডাউন। একইসঙ্গে ভারতের বিশেষজ্ঞরাও করোনা নিয়ে সতর্কতা জারি করেছেন। সরকারের তরফেও করোনার সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ফের আছড়ে পড়তে পারে করোনার আরও একটি ঢেউ।
ইতিমধ্যেই করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিয়ে নিয়েছেন অনেকেই। যাঁরা নেননি, তাঁরাও নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনার এই নতুন ঢেউ ঠেকানোর জন্য একটি বুস্টার ডোজ হয়তো পর্যাপ্ত নয়। সেই কারণে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজের চাহিদা বাড়ছে দেশে।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মন্ডব্য ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে দেশের প্রথম সারির চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রী তাঁদের প্রস্তাব দেন মানুষকে বুস্টার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য। উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হয়েছে।
করোনার আরও একটি ঢেউ আছড়ে পড়লে কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী। এছাড়াও করোনা নিয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করা নিয়েও আলোচনা করা হয়। মানুষের মধ্যে ভুয়ো খবর ছড়ানো রুখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া নিয়ে আলোচনা করেন মনসুখ মন্ডব্য।
প্রসঙ্গত, চিনে একাধিক মানুষ করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। তবুও সেখানে করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। এই অবস্থায় আইএমএ ও কেন্দ্রের বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, করোনার আরও একটি ঢেউ রুখতে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
চতুর্থ ডোজ কেন জরুরি? এ বিষয়ে আইএমএ-র প্রাক্তন সভাপতি ডঃ জেএ জয়ালাল জানিয়েছেন, শেষ বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছিল প্রায় ১ বছর আগে। এর মধ্যে শরীরের করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে থাকতে পারে। সে জন্য দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ব জুড়ে ফের হু হু করে বাড়ছে করোনা। চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ আকার নিয়েছে এই ভাইরাস। কিন্তু ভারত আপাতত স্বস্তিতে রয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর ভারতে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬৩ জন।