মিলল না পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা, সমস্যায় পড়বেন কর্মীরা?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি প্রকল্পে রাজ্যের (West Bengal) প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। বছরের পর বছর বাংলাকে পঞ্চাদশ অর্থ কমিশনের নগরোন্নয়ন খাতের টাকা থেকেও বঞ্চিত করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই নিজেদের প্রাপ্য আদায়ের জন্য এবার কেন্দ্রের উপর লাগাতার চাপ বাড়িয়ে চলেছে মমতার সরকার। সেই চাপে কার্যত নতি স্বীকার করে কিছুটা হলেও রাজ্যের জন্য হাত খুলল কেন্দ্রের। তবে আপাতত রাজ্যের ৪০ টি পুরসভার বরাতের ক্ষেত্রে বজায় থাকলো বঞ্চনার ধারাবাহিকতা।

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা নিয়েও রাজ্যকে (West Bengal) বঞ্চনা মোদি সরকারের

বারবার রাজ্যের (West Bengal) অভিযোগের মুখে পড়ে দু’বছর আগের পাওনা থেকে সামান্য কিছু টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে একাধিক বড় পুরসভার। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর দমদম, হাবড়া, গারুলিয়া, ভাটপাড়া, নৈহাটি,খড়দহ,ব্যারাকপুর, দুর্গাপুর,ডোমকল,দিনহাটা, কামারহাটি,টিটাগর,বনগাঁ, হলদিয়া। টাকা আটকে রেখে আরও একবার রাজ্যের উন্নয়নের গতি বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন ফিরহাদ হাকিম।

পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এপ্রসঙ্গে স্পষ্ট জানালেন, ‘রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়! বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা এখন একপ্রকার প্রথায় পরিণত হয়েছে। এটা আরও একটি উদাহরণ। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুরসভাগুলিকে প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিষয়টিকে পুরোপুরি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ফিরহাদ।

আরও পড়ুন: লেডিস স্পেশাল! এবার রাজ্যে স্কুল ছাত্রীদের জন্য চালু হচ্ছে বিনামূল্যের বাস পরিষেবা

দ্রুত এই ৪০ টি পৌরসভার টাকা ছাড়ার দাবি জানিয়ে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রশাসনিক সূত্রে খবর রাজ্যের (West Bengal) মোট ১২৬ টি পৌরসভার জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তরফ থেকে ১ হাজার ৬৬ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম কিস্তির মাত্র ৩৫৭ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে কেন্দ্র। যা দেখেই চোখ কপালে উঠেছে পুরো দপ্তরের আধিকারিকদের। এমনিতেই  প্রায় দু’বছর পর ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। তার উপর ৪০টি পুরসভার জন্য কোনও অর্থ দিল না কেন্দ্র। এই পুরসভাগুলিকে টাকা না দেওয়ার পিছনে কেন্দ্র কী যুক্তি দিয়েছে কেন্দ্র?

Mamta Banerjee

সূত্রের খবর, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের জিএসডিপি বৃদ্ধির হারের তুলনায় সংশ্লিষ্ট পুরসভার সম্পত্তি কর আদায়ের হার বেশি হলে তবেই বরাদ্দের টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও নির্বাচিত বোর্ড থাকা বাধ্যতামূলক। তাই এক্ষেত্রে কেন্দ্রের যুক্তি, কিছু ক্ষেত্রে বোর্ড না থাকার কারণে টাকা আটকানো হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্পত্তি কর আদায়ের হারে ঘাটতি রয়েছে। থাকায় ৪৯টি পুরসভার টাকা দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের এই যুক্তি মানতে নারাজ রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে তাদের পাল্টা দাবি, পুরসভাগুলি নির্দিষ্ট পোর্টালে সরাসরি সমস্ত তথ্য দাখিল করেছে। 

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর