বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার কারণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বকেয়া থাকা সত্ত্বেও বাংলাকে বঞ্চনা করে চলেছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সরকার, অতীতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এহেন একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে আনে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকে এই সকল বিষয় তুলে ধরেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আর এর মাঝেই এবার জিএসটির (GST) ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যকে ৮১৪ কোটি টাকা পাঠালো কেন্দ্র সরকার। ফলে অস্বস্তি যে খানিক অংশে কমলো তৃণমূল কংগ্রেসের, তা বলা বাহুল্য।
প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা, আবাস যোজনা থেকে শুরু করে ১০০ দিনের প্রকল্প এবং অন্যান্য একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাবদ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ একাধিক বার প্রকাশ্যে আনেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এর মাঝে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা পাঠায় কেন্দ্র। পরবর্তীতে আবাস যোজনা আর এবার জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ বিপুল পরিমাণ টাকা হাতে পেল রাজ্য।
এক্ষেত্রে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে দাবি করা হয়, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি নিজেদের নামে চালানো এবং দুর্নীতির জন্যই তৃণমূল সরকারকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। তবে সেই দাবি উড়িয়ে বর্তমানে রাজ্যকে ৮১৪ কোটি টাকা পাঠালো মোদী সরকার।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্র জিএসটির ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণকে একটি চিঠি লেখেন আর এরপরেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত জিএসটির টাকা দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
তবে জিএসটির টাকা মিললেও ১০০ দিনের প্রকল্প বাবদ টাকা কবে মিলবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট ধারণা মেলেনি। অতীতে এই সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হলেও কেন্দ্রের তরফ থেকে কোন সদর্থক জবাব মেলেনি বলেই জানা যাচ্ছে। তবে আগামী ৫ ই ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের উপর এ সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১০০ দিনের প্রকল্প বাবদ রাজ্যের প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ ৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। গতকাল বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গঙ্গা পদ্মার ভাঙনের টাকা, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান সবই পড়ে রয়েছে। টাকা না পেলে শুরু করা যাচ্ছে না। আমি স্পিকারকে প্রস্তাব দিচ্ছি, সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হোক দিল্লিতে।” এক্ষেত্রে ওই দলটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।