এই মুহুর্তে এনআরসি, সিএএ, এনপিআর নিয়ে সিএবি নিয়ে যখন উত্তাল দেশ। দেশের কিছু মানুষ এনআরসি নিয়ে নাগরিকত্ব কিভাবে প্রমান করবেন সেই নিয়ে চিন্তায়, তারা বিজেপি সরকারকে তোপ দাগছেন। আবার অন্যদিকে বিজেপি সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তে বেশ কিছু মানুষ বেজায় খুশি। তাদের মতে দেশে এই নিয়ম আসলে তবেই হিন্দুরা নিরাপদে থাকবে।
দেশ উন্নত হবে, সব দিক থেকেই শান্তি বজায় থাকবে। কিন্তু এই দুই মেরুর দ্বন্দে রাজ্যে দেশে রোজ ঘটে চলেছে অশান্তি এবং প্রতিবাদ সভা।মঙ্গলবার সিএএ নিয়ে প্রবল হইহট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলের সাংসদের প্রতিবাদে লোকসভার কাজ চালানো দুস্কর হয়ে যায় স্পিকারের পক্ষে। বাধ্য হয়েই সভার কাজ মুলতুবি করে দিতে হয়। স্পিকার বলেন, সিএএ ইস্যুতে খোদ অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে এনিয়ে বক্তব্য রাখবেন। তার পরেও শান্ত হয়নি বিরোধীরা।
প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিরও দাবি তোলেন তাঁরা।আর এরপরেই বাধ্য হয়ে কেন্দ্র জানায় এইমুহুর্তেই হবে না এনআরসি। এইদিন সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লিখিত মাধ্যমে জানিয়েছেন যে এখনো অব্দি এনআরসি কে কাজে লাগাবে বলে ভাবেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনের কথা সবে বলা হয়েছে তবে বাস্তবে কবে থেকে তা বলবত হবে সেই নিয়ে এখনো অব্দি কিছুই সঠিক করে বলা হয়নি।এইদিন লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এই নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন। দিল্লির শাহিনবাগ, কলকাতার পার্ক সার্কাস, লখনউয়ের ঘণ্টাঘর সহ দেশের একাধিক জায়গায় রাস্তায় নেমে পড়েন সাধারণ মানুষ।
তার আগে, আগের বছর অমিত শাহ জানান এনআরসি করে তবেই ছাড়বেন দেশে এই আইন করা হবে। বহিরাগতদের আটকানো হবে সবরকম ভাবেই।আবার কিছুদিন এর মধ্যেই গত জানুয়ারি মাসে সংসদে অমিত শাহ জানান, দেশজুড়ে এখনই এনআরসি লাগুর পরিকল্পনা নেই সরকারের। একবার এনআরসি হবে একবার হবেনা এই নিয়ে বারবার আমজনতার মনে চিন্তার পাশাপাশি একটা চাপা ধোয়াশা দিয়ে যাচ্ছে বিজেপি সরকার।